করোনার সেকেন্ড ওয়েভ
একুশের বিধানসভা নির্বাচন ছিল পশ্চিমবঙ্গে। লাগাম ছাড়া মিটিং-মিছিল জমায়েত হয়েছে। একের পর এক জনসভায় ভিড় করেছে মানুষ। শিকেয় উঠেছিল সামাজিক দূরত্ব বিধি। মাস্ক পরা অনেকেই বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তার জেরে পশ্চিমবঙ্গে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ মারাত্মক আকার নেয়। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে মাঝ পথে মিটিং মিছিল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রাজনৈিতক দল গুলি। শেষে কমিশনও পদক্ষেপ করে। কিন্তু ততদিনে হাতের বাইরে চলে গিয়েছিল রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি।
বেড়েছে মৃত্যু
এপ্রিল মাসের শেষের দিক থেকে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিয়েছিল রাজ্যে। তীব্র অক্সিজেন সংকট, হাসপাতালে বেডের অভাব। জেলায় জেলায় মৃত্যু মিছিল শুরু হয়। অনেকে হাসপাতালে বেড না পেয়ে, অক্সিজেন না পেয়ে অনেকেই বাড়িতে মারা গিয়েছেন। সে সংখ্যা হিসেবে কুলানো যাবে না। কলকাতা শহরে এই ধাক্কায় মৃত্যুর হার ছিল সবচেয়ে বেশি। ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছিল রাজ্যে করোনায় মৃত্যু। পরিসংখ্যান যা উঠে আসছে তা চমকে ওঠার মতো। ২০২০সালের চেয়ে ২০২১ সালে শুধুমাত্র কলকাতা শহরে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪ গুণ বেড়েছে। ২০২১ সালে এখনও পর্যন্ত শুধু মাত্র কলকাতায় গতবারের চেয়ে ১৩৭১ জন বেশি মারা গিয়েছেন।
দুই মাসে সংক্রমণ সর্বাধিক
২০২১ সালের প্রথম দুই থেকে তিন মাস করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ তেমন ছিল না রাজ্যে। এপ্রিল, মে মাসে তা মারাত্মক আকার নেয়। বিশেষ করে এপ্রিল মাসের শেষ থেকে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছিল। এপ্রিল মাসের শেষ থেকেই মৃতের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছিল। তার একমাত্র কারণ ছিল সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা না পাওয়া। সেসময় হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণএতোটাই বেড়ে গিয়েছিল যে রোগীরা ঠিক মত চিকিৎসা এবং অক্সিজেন না পেয়ে মারা যান।
কমিশনকেই দায়ী করা হয়
হঠাৎ করে রাজ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে নির্বাচন কমিশনকেই দায়ী করেছিল আদালত। তাই নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়। বেলাম জমায়েতই করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির মূল কারণ বলে অভিযোগ করেছিল আদালত। নতুন সরকার গঠনের পর ধীরে ধীরে একাধিক নিয়মকার্যকর হওয়ার পর পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।