ভাঙন বিজেপিতে!
বিধাণসভা ভোটের ফল প্রকাশ হতেই ভাঙন শুরু হয়েছে বিজেপিতে। একের পর এক নেতা কার্যত বিদ্রোহী হয়ে উঠেছেন। শুধু তাই নয়, পুরানো সৈনিকরাও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। অনেকেই আসছেন না বিজেপির দফতরে। এই অবস্থায় করোনা পরিস্থিতি কমলেই একাধিক আসনে হবে উপইর্বাচন। ভোট হবে ভবানীপুরেও। এই অবস্থায় কে হবেন প্রার্থী তা নিয়ে আলচনা শুরু হয়েছে।
লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার জন্য তৈরি রুদ্রনীল
তবে এই চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি অভিনেতা তথা রুদ্রনীল ঘোষ। প্রথম লড়াইয়ে হেরেও দ্বিতীয় লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার জন্য তৈরি রুদ্রনীল ঘোষ। একে উপনির্বাচন, তা-ও আবার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তবুও পিছু হঠতে চান না ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানো ওই অভিনেতা। রুদ্রনীল বলছেন, ‘‘আমি দলের সৈনিক। দল বললে অবশ্যই লড়ব। এ ব্যাপারে আমার কোনও মতামত নেই। আমি নির্দেশ মানতে তৈরি আছি।'' অভিনেতা এ দাবিও করেছেন যে, তিনি এখনও ভবানীপুরের মানুষের সঙ্গেই আছেন।
শোভনদেবের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই!
অমিত শাহের বাড়ি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রুদ্রনীল। বিজেপিতে যোগ দিলেও হাওড়া জেলার কোনও আসন থেকে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু একেবারে শেষ দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণায় বিজেপি ভবানীপুর আসন দেয় রুদ্রনীলকে। কিন্তু ভবানীপুর কেন্দ্রে মাটি কামড়ে পড়ে থাকেন তিনি। লড়াই করেন। তৃণমূলের শোভনদেব পান ৭৩ হাজার ৫০৫ ভোট। সেখানে রুদ্রনীল পান ৪৪ হাজার ৭৮৬ ভোট। ব্যাবধান ছিল ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটের। তবে হেরে গেলেও তিনি ভবানীপুরের মানুষের সঙ্গেই আছেন বলে দাবি করেন রুদ্রনীল। দল এই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করবে কি না তা এখনও ঠিক হয়নি। রুদ্রনীলও বলছেন, ‘‘আমি জানি না, দল আমায় প্রার্থী করবে কি না। যদি দল বলে অন্য কোনও প্রার্থীর হয়ে আমাকে পরামর্শদাতার কাজ করতে হবে, তাতেও আমি রাজি। তবে আমি ভবানীপুরের মানুষের সঙ্গে ভোটের আগে যেমন ছিলাম তেমন আছি।''
মীনাক্ষীকে ভবানীপুরে প্রার্থী চায় সিপিএম
ভবানীপুর থেকে জয়ী তৃণমূলের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ইতিমধ্যে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। জানিয়েছেন মমতাকে তাঁর নিজের কেন্দ্র ছেড়ে দিতেই এই সিদ্ধান্ত। এরপরই সিপিএমের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মীনাক্ষীকে প্রার্থী করার। এবার জোট নয় এককভাবে প্রার্থী করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, একুশের ভোটে নন্দীগ্রাম হাইভোল্টেজ কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল মমতা বনাম শুভেন্দুর নির্বাচনী লড়াইকে ঘিরে। সেখানে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হয়েছিলেন সিপিএমের মীনাক্ষী। মীনাক্ষী প্রচারের আলোয় এসেছিলেন হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রামের সৌজন্যে। এই কেন্দ্রে সুপার ওভারে বিতর্কিত বিজয় হাসিল করেছেন শুভেন্দু। ফলে মমতাকে ফের ভবানীপুরে দাঁড়াতে হচ্ছে।