কলকাতাঃ দেশজুড়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে মারণ ভাইরাস করোনা (Corona)। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। পরিস্থিতি বেসামাল। আক্রান্তের সংখ্যা নিম্নমুখী হলেও কাটছে না আতঙ্ক। সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে একাধিক রাজ্য শরণাপন্ন হয়েছে কারফিউ থেকে লকডাউনের। এরাজ্যের অবস্থাও খানিকটা বেগতিক। এহেন সংকটজনক পরিস্থিতির বিরুদ্ধে প্রশাসনের সাথে ময়দানে নেমে কাজ করছেন সেলিব্রেটি সহ আমজনতারও। সাধারণ মানুষের মধ্যে যুবসমাজ সেই তালিকায় অনেকটাই এগিয়ে। বাকিদের মতো তাঁরাও দিনরাত এক করে সাধ্যমত মানুষের সাহায্য করে চলেছে।

আজ আমরা তুলে ধরব এমনই তিন বন্ধুর কথা। যারা মানুষের সাহায্যের জন্য রাস্তায় নামতে পারিনি ঠিকই, তবে বাড়িতে বসে গড়ে তুলল করোনা রোগীদের চিকিৎসা সম্পর্কিত বিপুল তথ্যভাণ্ডার, যা দিয়ে তাঁরা মানুষের সাহায্য করছেন নিয়মিত। সেই তিন বন্ধু হল সুভিনব বসাক, শৌনক ঘোষ এবং দেবদত্তা নন্দী। সামাজিক মাধ্যমে তাঁরা চিকিৎসা সম্পর্কিত একাধিক তথ্য দিয়ে থাকে। তবে তাঁরা এটা উপলব্ধি করে যে, সব তথ্য যদি একত্র করে রাখা হয়, তাহলে তা থেকে মানুষকে সাহায্য (Corona Help) করতে সুবিধা হবে। সেইমত তাঁরা তথ্য একত্র করে ফেলে।

তাঁরা জানাচ্ছে, কোনও করোনা রোগীর (Covid Patient) পরিবার থেকে সাহায্যের জন্য ফোন এলে, আমরা আমাদের জোগাড় করা তথ্য ভাণ্ডার থেকে সেই সাহায্যর বন্দোবস্ত করি। কারও হাসপাতালে শয্যা প্রয়োজন হলে, বা অক্সিজেন সহ অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী প্রয়োজন হলে আমরা ডেটাবেস থেকে নিকটবর্তী সাহায্যকারী বা অক্সিজেন কারা সরবরাহ করছে বা কোন হাসপাতালে শয্যা খালি আছে সেগুলিও জানিয়ে থাকি। পাশাপাশি কেউ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে চাইলে স্বাস্থ্যভবনের সাথেও যোগাযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করি।’ তাঁরা এও জানায়, ‘অনেকেই তথ্য দিয়ে মানুষকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলেও, পরে তারা হাল ছেড়ে দেয়, কিন্তু আমরা মানুষের সাহায্য করে যেতে চায়’।

তাঁদের মধ্যে একজন জানায়, ‘আমরা যখন মানুষের সাহায্যের জন্য অন্যান্য সাহায্যকারীদের সন্ধান করি, তখন আমরা কিছু কিছু ঘটনায় অবাক হয়ে যায় যে, দেশ সহ রাজ্যের এহেন সংকটকালে কিছু অসাধু মানুষ ভুয়ো সাহায্যকারী সেজে বসে আছেন।’ তাঁরা জানায়, আমরা মানুষকে সাহায্যের জন্য নিজেদের সুস্থ রাখতে যখন ঘুমায়, তখন আমাদের মধ্যে অন্য কেউ একজন সেই সময়  ছুটে বেড়ায় সাহায্যার্থে (Corona Hero)।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.