দ্বিতীয় ব্যাচ প্রকাশ
বৃহস্পতিবার অ্যান্টি কোভিড ড্রাগ ২ডিজির দ্বিতীয় ব্যাচ প্রকাশ করা হয়েছে। ডিআরডিও কর্মকর্তারা ২৬ মে জানিয়েছিলেন যে ২৭ মে ডাঃ রেড্ডির ল্যাব ২ডিজি ওষুধের ১০,০০০ পাউচের দ্বিতীয় ব্যাচটি হাসপাতালে পৌঁছে দেবে।
জুনের মাঝামাঝি সময়ে আসবে বাজারে
২-ডিওক্সি-ডি-গ্লুকোজ (২ডিজি) অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধটি জলে মিশিয়ে খেতে হয়। গত ১৭ মে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই ওষুধের উদ্বোধনের পরই এটা নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রচুর কৌতুহলের সৃষ্টি হয়। ২ডিজি ওষুধটি হায়দরাবাদ ভিত্তিক ডাঃ রেড্ডি ল্যাবরেটরিজ এবং ডিফেন্স এন্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের সহযোগিতায় ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যালাইড সায়েন্স (আইএনএমএএস) দ্বারা ২-ডিওক্সি-ডি-গ্লুকোজ ওষুধটি তৈরী হয়েছে।
ডাঃ রেড্ডির ল্যাবরেটরিজ মারফৎ জানা গিয়েছে যে এই ওষুধ জুনের মাঝখানে বাজারে আসবে। এই ওষুধের গণ উৎপাদন জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়ে যাবে।
সুফল মিলেছে করোনা রোগীর ক্ষেত্রে
করোনার রাশ টানতে মাসের শুরুতে ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার ডিজিসিআই অনুমোদন দিয়েছিল এই ২ডিজিকে। গোটা দেশ যখন করোনার দ্বিতীয় ওয়েভের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের হাহাকার, বেডের অপ্রতুলতা, হাসপাতালে উপছে পড়ছে রোগীর সংখ্যা, ঠিক সেই সময় এই ওষুধের অনুমোদন মেলে। এই ওষুধটি মাঝারি ও গুরুতর লক্ষণযুক্ত রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি করোনা আক্রান্তদের ওপর ট্রায়ালে দারুণ কাজ করেছে এই ২ডিজি। এটি করোনা রোগীদের অক্সিজেনের উপর নির্ভরতা কমাতে সক্ষম। এই ওষুধ ব্যবহারের পর অনেক আক্রান্ত রোগীর রিপোর্ট দ্রুত নেগেটিভ এসেছে। সফল ট্রায়ালের পরেই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা ডিজিসিএ-র
গত বছর থেকে নেওয়া হয় উদ্যোগ
গত বছরের গোড়ার দিকে মহামারি শুরু হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান। যার পরে ডিআরডিও প্রকল্পটির উপর কাজ শুরু করে দেয়।