কলকাতা: সোশ্যাল সাইটে বিগত কয়েক দিন ধরে একটি মিম ঘুরপাক খাচ্ছিল। ‘ইয়াস’ (Yaas) ঝড় আসা মানে,’সিইএসসি-র (CESC) মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট বেরোনো।’ আসলে সবার মনেই গত বছর ‘আম্ফান'(Umpun) পরবর্তী আকাশছোঁয়া ইলেকট্রিক বিলের স্মৃতি এখনও তরতাজা।

‘আম্ফান’ এর পর কলকাতার বেশ কিছু অংশে ইলেকট্রিক সাপ্লাই বন্ধ ছিল টানা কয়েকদিন। কিন্তু তারপরেও সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটিরাও নাকানিচোবানি খেয়ে গেছিল সেই ইলেকট্রিক বিল দেখে। চক্ষু চড়কগাছ করা বিল দেখে গত বছর অনেকেই সোশ্যাল সাইটে সিইএসসি-কে প্রবল কটাক্ষ করেছিলেন। ‘ইয়াস'(Yaas) আছড়ে পড়ার পরে এমন কিছু ঘটবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। তবে এবার কলকাতায় ঝড়ের আঁচ তেমনভাবে না পড়ায়, ইলেকট্রিক সাপ্লাই চালু রয়েছে। এই অবস্থা বিবেচনা করেই ‘সিইএসসি’র বর্তমান মানসিক অবস্থা কিছুটা কল্পনা করে লিখলেন ভাস্বর(Bhaswar Chattopadhyay)।

ফেসবুকে ভাস্বর লেখেন, ইয়াসের তান্ডব কলকাতায় কম হওয়াতে না কী সবথেকে বেশি ক্ষতি হল সিইএসসি-র। ফলস্ বিল কী করে ধরাবে তাই তারা এখন ভাবচ্ছে। ফেসবুকে ভাস্বর এই পোষ্টকে অনেকেই সমর্থন জানিয়েছেন।

সম্প্রতি কাশ্মীর থেকে ঘুরে এসেছেন ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। সেখান থেকে ফিরেই সম্পূর্ণ রকমভাবে সামাজিক কাজের মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন অভিনেতা। সম্প্রতি, দিন আনি দিন খাই মানুষকে আগলে রাখার দায়িত্ব নিয়েছেন অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়(Bhaswar Chattopadhyay)।
নিউ আলিপুর(New Alipore) এলাকার বস্তিবাসী প্রায় ৮০ জন মানুষের দুপুরের খাবার ব্যবস্থা করলেন ভাস্বর। এমনকি, তিনি নিজেও উপস্থিত ছিলেন সেই সময়। সোশ্যাল সাইটে সেই ছবি শেয়ার করে ভাস্বর লিখেছিলেন ‘ভগবানের আশীর্বাদে আমার এনজিও অপর্ণা ফাউন্ডেশন আলিপুরে ৮০ জন মানুষের জন্য খাবারের বন্দোবস্ত করতে সক্ষম হয়েছিল। আমি পুরোটা সময় সেখানে উপস্থিত ছিলাম। আর সবাই খুব সুন্দর করে লাইন মেনে, মুখে মাস্ক পরে খাবার নিয়েছে।’

তবে শুধু কলকাতা(Kolkata) নয় ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় নিজের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সুদূর কাশ্মীরেও। ভাস্বরের কাশ্মীর নিবাসী বন্ধু সইম মুস্তাফার সংস্থা ‘ফেত সাইকো সোস্যাল রিহ্যাবিলিলেশন এন্ড সেন্টারে (Psycho social rehabilitation and center) এ ত্রিশটি রেশন কিট পাঠিয়েছেন অভিনেতা। এবার ‘ইয়াস’ বিপর্যস্ত দেড়শোটি পরিবারকে রেশন পাঠিয়েছেন অভিনেতা। অভিনেতার এই মানবদরদী রূপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সবাই।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.