কলকাতা:  অতিরিক্ত মদ্যপান (Alcohol consumption) যে শরীরের পক্ষে ভালো নয় সেটা আমাদের সকলেরই জানা। তাই যারা স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন তারা খুব সীমিত মদ্যপান করে থাকেন। সপ্তাহের শেষে বন্ধুদের সঙ্গে এক বোতল বিয়ার (beer) বা সমস্ত দিনের কাজের চাপের পর রাতে এক গ্লাস ওয়াইন (wine) খুব একটা ক্ষতিকর নয়। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা নিয়মিত মদ্যপান তো দূর , মাঝে মাঝে মদ খাওয়ার ক্ষেত্রেও দাড়ি টানতে পারে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে করা এক গবেষণা অনুযায়ী সামান্য পরিমাণ মদ্যপান ও আমাদের মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে।

ওই গবেষণায় বলা হয়েছে সামান্য পরিমাণ বা মাঝে মাঝে মদ খেলেও মস্তিষ্কের সব অংশের ক্ষতিসাধন হয়। ইউনাইটেড কিংডমের (United Kingdom) ২৫, ০০০ জনের ওপর গবেষণা চালিয়েছেন গবেষকরা। গবেষণায় দেখা গেছে যে মদ মস্তিষ্কের গ্রে ম্যাটারে (Gray matter) মারাত্বক প্রভাব ফেলে। আমাদের মস্তিষ্কের সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমের প্রধান উপাদান হলো এই গ্রে ম্যাটার যাতে নিউরণাল সেল, নিউরোফিল, ইত্যাদি থাকে। এই অংশ মস্তিষ্কে তথ্য আদান প্রদানে প্রধান ভূমিকা পালন করে। বেশি মাত্রায় মদ খেলে এই গ্রে ম্যাটারের পরিমাণ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা উঠে এসেছে গবেষণায়। যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের প্রভাব ফেলার জন্য যথেষ্ট।

গবেষকদের গবেষণা অনুযায়ী যে কোনো ধরনের মদ মস্তিষ্কের পক্ষে খারাপ এবং প্রভাব সমান। যদি আপনি ভদকা বা জিনের মতো বেশি অ্যালকোহল যুক্ত মদের পরিবর্তে বিয়ার বা ওয়াইন খান যাতে অ্যালকোহলের পরিমাণ কম, তাতে ক্ষতির পরিমাণ একই। এর ওপর যদি কারোর উচ্চ রক্ত চাপ (high blood pressure) বা ওজন বৃদ্ধির মত উপসর্গ থাকে, তবে ক্ষতি আরও বেশি।

অতিরিক্ত মাত্রায় মদ্যপান অনেক শারীরিক সমস্যা ডেকে আনতে পারে। হাইপারটেনশন, হার্টের রোগ, কিডনির রোগের মত নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। অন্যদিকে সংক্রমণের ভয় ও একাকীত্বের সঙ্গে অতিরিক্ত মদ্যপান যুক্ত হলে গার্হস্থ্য হিংসার প্রকোপও বাড়তে পারে। বাড়ে মানসিক চাপ। সব মিলিয়ে এও বলা হচ্ছে বাড়ে করোনার আশঙ্কা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.