মমতার আচরণ দুর্ভাগ্যজনক এবং নিম্নস্তরের বলে টুইট শাহের! অহংকে বিসর্জন দিতে বললেন নাড্ডা

ইয়াসের ঝাঁপটায় বিপর্যস্ত বাংলা। দিঘা-মন্দারমণি সহ মেদিনীপুর ভয়ঙ্কর ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। একের পর এক বাঁধ ভেঙেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণাতে। এই অবস্থায় ক্ষয়ক্ষতি সরজমিনে দেখতে রিভিউ মিটিং ডাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এই মিটিংয়ে অনুপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

বিজেপির শীর্ষস্তরের নেতারা একযোগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আসরে নামলেন। জেপি নাড্ডা থেকে শুরু করে রাজনাথ সিং সকলেরই বক্তব্য প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর না থাকাটা দুর্ভাগ্যজনক। যদিও মমতা বলেছেন দিঘার বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্যে মোদীর বৈঠকে থাকতে পারেননি তিনি।

মমতাকে আক্রমণ বিজেপির সর্বসভাপতি

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা বৈঠকে মমতার না থাকা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা টুইট করে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন, "যখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজী ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে' ক্ষতিগ্রস্থ বাংলার মানুষের পাশে দৃঢ়তার সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছেন, তখন মমতাজির উচিত ছিল জনগণের কল্যাণার্থে নিজের অহংকে বিসর্জন দেওয়া। প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে তাঁর অনুপস্থিতি হল সাংবিধানিক নীতি আর সমবায় মৈত্রীতন্ত্রের হত্যা।" । অন্য দিকে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের টুইট- ‘পশ্চিমবঙ্গে আজকের ঘটনা মর্মস্পর্শী। মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী কোনও ব্যক্তি নন, প্রতিষ্ঠান। দু'জনেই জনসেবা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং সংবিধানের আনুগত্যের শপথ নেন'।

আচরণ দুর্ভাগ্যজনক ভাবে নিম্নস্তরের

মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে অমিত শাহ তাঁর টুইটারে লেখেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর আজকের আচরণ দুর্ভাগ্যজনক ভাবে নিম্নস্তরের। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বহু নাগরিকের উপর প্রভাব ফেলেছে। এখন ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার সময়। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে দিদি তাঁর অহংবোধকে জনস্বার্থের ঊর্ধ্বে স্থান দিয়েছেন। আজকের নিচু স্তরের আচরণ তারই প্রতিফলন'।

আক্রমণ শানিয়েছেন জগদীপ ধনখর!

কলাইকুন্ডাতে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে স্বাগত জানান পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকেও ছিলেন রাজ্যপাল। তিনিও তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন। রাজ্যপাল এ প্রসঙ্গে টুইটারে লেখেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এর ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর আধিকারিকেরা অংশ নেননি। এটি আসলে সংবিধান এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে বয়কট। অবশ্যই এমন পদক্ষেপের ফলে জাতীয় স্বার্থ বা রাজ্যের স্বার্থ রক্ষিত হয়নি'।

চেয়ার ছিল ফাঁকা

উল্লেখ্য এদিণ রিভিও বৈঠক ডাকা হয়েছিল প্রধাণমন্ত্রীর তরফে। প্রধাণমন্ত্রীর সঙ্গে মমতা দেখা করলেও ছিলেন না ওই বৈঠকে। ইতিমধ্যে মিটিংয়ের ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে প্রধাণমন্ত্রীর পাশের আসণ ফাঁকা রয়েছে। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দখা করে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট দিয়ে এসেছি। তবে আমাকে দিঘায় আসতে হত, তাই বৈঠকে থাকতে পারিনি। উনি আমাকে বৈঠকে ডেকেছিলেন। তাই ওঁর সঙ্গে দেখা করে এসেছি। জানিয়ে এসেছি, দিঘায় আসতে হবে তাই বৈঠকে থাকতে পারছি না।

দিঘায় আসতে হত তাই প্রধানমন্ত্রীর মিটিংয়ে আসিনি: মমতা

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দখা করে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট দিয়ে এসেছি। তবে আমাকে দিঘায় আসতে হত, তাই বৈঠকে থাকতে পারিনি। উনি আমাকে বৈঠকে ডেকেছিলেন। তাই ওঁর সঙ্গে দেখা করে এসেছি। জানিয়ে এসেছি, দিঘায় আসতে হবে তাই বৈঠকে থাকতে পারছি না।

More MAMATA BANERJEE News  

Read more about:
English summary
cyclone yass amit shah- j p nadda target mamata banerjee on pm modi meeting