নয়া দিল্লিঃ সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলাতে আজকাল কোনও কিছু ভাইরাল (Viral) হতে সময় লাগে না। তা সে ঠিক বা ভুল। মানুষের মধ্যেও এখন এমন প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, তারা কোনও কিছু যাচাই না করে শেয়ার করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করছে না। সম্প্রতি নয়া তথ্য প্রযুক্তি আইন নিয়ে যখন সরগরম গোটা দেশ, ঠিক তখনই একটি মেসেজ তুমুল ভাইরাল হচ্ছে। সেটিতে দাবি করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার আপনার মোবাইল এবং সোশ্যাল মিডিয়ার গতিবিধির উপর নজরদারি রাখছে। এটি মূলত ভাইরাল হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপেই।
তবে কেন্দ্রীয় সংস্থা প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB)সেই ভাইরাল মেসেজের সত্যতা সামনে এনেছে। তাঁরা জানিয়েছে, দেশে এখনও পর্যন্ত নয়া তথ্য প্রযুক্তি আইন লাগু হয়নি এবং এই আইনের মাধ্যমে এমন কোনও নিয়মও জারি হয়নি। আপনারা ভুল তথ্য পরিবেশন করবেন না’।
উল্লেখ্য, করোনার (Corona) দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন। আক্রান্তের সংখ্যা নিম্নমুখী হলেও কাটছে না উদ্বেগ। মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। হাসপাতালে মিলছে না পর্যাপ্ত শয্যা, সাথে দোসর অক্সিজেনের ঘাটতি। তদুপরি সরকার ভরসা রেখেছে টিকাকরণের ওপর। তবে এহেন সংকটকালে সেই টিকাকরণ নিয়েও সামাজিক মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তার কোনও টা ঠিক, আবার কোনও টা একেবারেই ভুল। মারণ ভাইরাসের সূচনা পর্ব থেকেই দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষকে আতঙ্কিত করতে যদি কোনও ভাইরাল পোস্ট ঘুরে বেড়ায়, তাহলে সেটি অতিসত্বর যাচাই করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা এই পিআইবি (PIB)।
তেমনই সম্প্রতি আরও একটি পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে ঘোরাঘুরি করছে, যেটিতে ফ্রান্সের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী লুক মন্টাগনিয়ারের নাম উদ্ধৃত করে দাবি করা হচ্ছে, ‘ভ্যাকসিন নেওয়ার দু’বছরের মধ্যে মৃত্যু হবে’। তবে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর (PIB) তরফে এই দাবিটি ভুল (Fake Post) বলেই স্পষ্ট করা হল। অর্থাৎ ‘করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের মৃত্যু নিশ্চিত’, যা সম্পূর্ণ ভুল এবং বিভ্রান্তিমূলক দাবি। কলকাতা২৪x৭-ও এই জাতীয় পোস্টের তীব্র বিরোধিতা করে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.