বর্তমানে দেশজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যায় খানিক পারাপতন দেখা গেলেও কমছে না মৃত্যু মিছিল। এদিকে তার মাঝেই আক্রান্ত ও মৃত্যু নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনল ইণ্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ বা আইসিএমআর। এদিকে এতদিন করোনায় মৃত্যুতে কোমরবিডিটি বা শরীরে বাসা বেঁধে তাকা আগাম রোগকে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছিল। কিন্তু বর্তমানে গোটা দেশে করোনাজয়ীদের মধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের প্রভাব নতুন করে উদ্বেগ বাড়ায়।
এদিকে আইসিএমআর-র বর্তমানে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে মৃত্যুর মুখ্য কারণ করোনা সংক্রমণ হলেও সংক্রমণ পরবর্তী সময়ে সময়ে শরীরে জাঁকিয়ে বসা একাধিক ফাঙ্গাল ও ব্যাকটেরিয়াজাত সংক্রমণই মৃত্যুকে আরও বেশি তরাণ্বিত করছে। আইসিএমআরর তথ্য বলছে বর্তমানে দেশে হাসপাতালো ভর্তি করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৩.৬ শতাংশের শরীরেই ব্যাকটেরিয়াজাত সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। যাদের মধ্যে আবার ৫৬.৭ শতাংশ মানুষই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ছে।
যদিও এই সমীক্ষা করা হয়েছিল গত বছর জুন থেকে অগাস্টের মধ্যে। দেশের মোট ১০টি বড় করোনা হাসপাতালে চলে গবেষণা। তারপরেই হাতে আসে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। মূলত যারা আইসিইউ-তে ভর্তি থাকা করোনা আক্রান্তদেরই এই সমীক্ষার আওতায় ফেলা হয়। সূত্রের খবর, গত বছর সংগ্রহ করা মোট ১৭ হাজার ৫৩৪টি কোভিড কেসের উপর পর্যালোচনা করে আইসিএমআর। যদিও বর্তমানে গোটা দেশে যে ভাবে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের থাবা চওড়া হচ্ছে তাতে মৃত্যুহার অনেকটাই বাড়ার কথা বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
করোনা থেকে বাঁচতে মৃত সাপ ভক্ষণ, ভিডিও ভাইরাল নেট দুনিয়ায়, বনদপ্তরের হাতে ধৃত তামিলনাড়ুর ব্যক্তি
এদিকে বর্তমানে গোটা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় বেশ খানিটা ভাটা দেখা যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কবলে পড়েছেন ১ লক্ষ ৮৬ হাজারের বেশি মানুষ। মারা গিয়েছেন ৩ হাজার ৬৫৯ জন। এদিকে এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ২ কোটি ৭৫ লক্ষের বেশি মানুষ করোনার কবলে পড়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। মারা গিয়েছেন ৩ লক্ষ ১৮ হাজারের বেশি মানুষ।