মোদীর হাতে রিপোর্ট তুলে দিলেন মমতা
এই অবস্থায় আজ আকাশ পথে ক্ষতিগ্রস্থ দক্ষিণ ২৪ পরগণা ঘুরে দেখেণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্দেশখালিতে দীর্ঘক্ষণ প্রশাসিক বৈঠকও করেন তিনি। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নেন আধিকারিকদের কাছ থেকে। এরপরেও কলাইকুন্ডার উদ্দেশ্যে উড়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে রিপোর্ট তুলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে রিভিউ মিটিংয়ে যোগ দেননি তিনি। ওড়িশায় ইয়াশ পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখে দুপুর দুটো দশ নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডা এয়ারবেস চত্বরে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌঁছয় মমতার কপ্টারও।
যা মনে হয় তাই করবেন
এদিন প্রধানমন্ত্রীকে ইয়াশ পরবর্তী রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ানের হিসাব সম্বলিত রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন তিনি। তারপরই চপারে করে দিঘার পথে রওনা হন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। প্রশাসনিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের কথাও বলেন তিনি। "যা মনে হয় তাই করবেন", একথাই প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে ছাড়াই শুরু হয় রিভিউ বৈঠক। প্রধানমন্ত্রীর ডাকা ওই বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী এবং খড়গপুরের বিধায়ক হিরণ।
শুভেন্দুর থাকা নিয়ে প্রশ্ন রাজ্যের
বন্যা বিধ্বস্ত রাজ্যের অবস্থা এবং ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আলোচনা। সেখানে শুভেন্দু অধিকারী এবং দেবশ্রী চৌধুরী কেন থাকবেন তার যৌক্তিকতা নিয়ে আগে প্রশ্ন তুলেছিল রাজ্য। তাঁরা থাকলে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে যোগ দেবেন না বলে আগেই কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল। কার্যত সেই কানাঘুষোই সত্যি হল। মোদীকে একটা কাগজ দিয়েই বৈঠক ছাড়লেন মমতা।
'কলাইকুন্ডায় একটা কাগজ হ্যান্ডওভার করতে যাচ্ছি'
মুখ্যমন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী বৈঠকের হাইভোল্টেজ পর্ব শুরু হওয়ার আগেই বাংলার রাজনীতি এদিন তোলপাড়। এদিন মোদীর বৈঠকে মমতা থাকবেন কি না, তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা। গঙ্গাসাগর থেকে কলাইকুন্ডার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে মমতা বলেন, 'কলাইকুন্ডায় একটা কাগজ হ্যান্ডওভার করতে হবে ', আর সেই জন্যই তিনি সেখানে যাচ্ছেন। বৈঠকের প্রসঙ্গ এদিন উত্থাপন করেননি মমতা। এমণকি পরেও করেননি তিই।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৫ হাজার কোটি টাকা
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস চলে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র বেরিয়ে আসছে। গতকালই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সম্পূর্ণ একটা চিত্র সামনে আসতে অন্তত ৭২ ঘণ্টা লাগবে। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিকদের তিনি জানান ইয়াস-এ রাজ্যে ক্ষতি হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে ১৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরে ফিল্ডে গিয়ে খতিয়ে দেখলে আসল ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। সরকারি তথ্যের উপরে ভিত্তি করে এটা দেখা গিয়েছে। তবে এরপর ফিল্ডে গিয়ে সার্ভে হবে। জল না নামলে তা সম্ভব নয়। তাই একটু দেরি হবে।