শ্রীনগরঃ করোনাকালে রোগীদের সেবায় দিনরাত এক করছেন চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা। দেশের সংকটকালে তাঁরা নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনের অনেক কিছুই একরকম ভুলেই মগ্ন রোগীদের সেবায়। সেই তাঁদের মধ্য থেকেই একের পর এক উঠে আসছে হৃদয়বিদারক কাহিনী। আজ আমরা বলব তেমনই এক চিকিৎসকের কথা, যিনি তাঁর এলাকায় একাই চিকিৎসক (Corona Hero)। মারণ ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে গোটা দেশ যখন বিপর্যস্ত, তখন তিনি সেই গোটা এলাকার একাকী চিকিৎসক হয়ে কীভাবে সামলাচ্ছেন পরিস্থিতি! জানলে আপনিও হৃদয় করুণ হয়ে উঠবে।

কথা বলছি শ্রীনগরের (Srinagar) কোহনাখান ডালগেটের জহুর আহমদ শেখের। তিনি সেই এলাকার একমাত্র নিবন্ধিত মেডিকেল প্র্যাকটিশনার (RMP)। সমাজের বৃহত্তর অংশের মানুষের সেবায় তিনি নিজের ব্যক্তিগত যাবতীয় কাজ এবং পরিবারের সকল কাজ ভুলে আছেন। সংকটকালে পরিবারের মায়া ও দায়িত্ব থেকে তিনি অনেকটাই দূরে সরে আছেন। গ্রীষ্মের রাজধানী শ্রীনগরের পর্যটন কার্যক্রমের কেন্দ্রস্থল। আর সেখানেই অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন তিনি। জানা যাচ্ছে, তাঁর এলাকায় আরও দুই-তিন জন চিকিৎসক আছেন। তবে তাঁরা কেউ নিবন্ধিত চিকিৎসক নয়। ফলত এলাকার মানুষ জহুরের (Covid Hero) কাছে চিকিৎসার জন্য আসাকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন।

জহুর ওই এলাকায় একটি নিবন্ধিত মেডিকেল শপ চালাচ্ছেন। তিনি জানান যে, শ্রীনগরে মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে ওই অঞ্চলটিতে মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পাশাপাশি তিনি এও জানান, মারণ ভাইরাসটি (Corona) তার এলাকায় প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ১৮ জনের। জহুর বিশ্বাস করেন যে যদিও মহামারীটি জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছিল, তবে এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মানুষকে উপলব্ধি দিয়েছে বিপর্যয় কালে শৃঙ্খলাবদ্ধ আচরন কতটা জরুরি। তিনি এও জানান যে, করোনা ভাইরাসের প্রথম ঢেউ তাঁর ব্যবসায়কে প্রভাবিত করলেও দ্বিতীয় ধাক্কায় মানুষের সেবার পাশাপাশি নিজের ব্যবসারও একটি শক্ত ভীত তৈরি করেছেন। জহুরের কথায়, আমি যে অঞ্চলটিতে বাস করি, সেখানকার একাকী আরএমপি হওয়ার কারণে রোগীদের ওষুধ সরবরাহ করার পাশাপাশি আমি তাদের চিকিৎসার দেওয়ারও আপ্রাণ চেষ্টা করি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.