কানপুরঃ বর্তমান ভারতীয় দলের অন্যতম প্রতিভাবান স্পিনার হলেন বাঁ হাতি চায়নাম্যান বোলার কুলদীপ যাদব(Kuldeep Yadav)। ২৬ বছর বয়সি কুলদীপের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল ২০১৭ সালে। ধর্মশালায় ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া টেস্ট ম্যাচে অভিষেক হয় তাঁর। দেশের জার্সি গায়ে প্রথম কয়েক বছর কুলদীপের স্বপ্নের মতো কেটেছিল। একের পর এক ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স করেছিলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৭০টি উইকেটের মালিক কুলদীপ গত বছর থেকে আর আগের মতো ফর্মে নেই। ফলে বহু দ্বিপাক্ষিক সিরিজে স্কোয়াডে থাকলেও, বেশিরভাগ ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি তাঁর। দেশের জার্সি গায়ে কুলদীপ শেষ টি-২০ ম্যাচ খেলেছিলেন ২০২০ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। এই বছর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি টেস্ট ও দু’টি একদিনের ম্যাচে খেলার সুযোগ পেলেও নজরকাড়া পারফরম্যান্স কিন্তু করতে পারেননি তিনি। ফলে ফের দল থেকে বাদ পড়তে হয় তাঁকে। এই বছর আইপিএলেও কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে একটিও ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি তাঁর। আসন্ন ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ(World Test Championship) ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের জন্য ঘোষিত দলেও নাম নেই কুলদীপের।

নিজের কেরিয়ারের শুরুতে কুলদীপ বিশ্বের বহু বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানকে বল করেছেন। সম্প্রতি ক্রিকট্র্যাকারের(CricTracker) সঙ্গে এক আলাপচারিতায় তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল বিশ্বের কোন ব্যাটসম্যানকে বল করতে তাঁর সবচেয়ে কঠিন লাগে। এর উত্তরে কুলদীপ এক মজার জবাব দেন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় সব ব্যাটসম্যানই ভালো যখন তাঁরা ভালো ফর্মে থাকেন। আলাদা করে কেউ নেই। যেকোনো ব্যাটসম্যান ভয়ঙ্কর হতে পারে, যখন সে ভালো ফর্মে থাকে’।

একদিনের ক্রিকেটে হ্যাট-ট্রিকের মালিক কুলদীপকে(Kuldeep Yadav) এরপর জিজ্ঞেস করা হয় এখনও পর্যন্ত তাঁর কেরিয়ারের সবচেয়ে বিশেষ উইকেট কোনটি। তিনি বেছে নেন টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর প্রথম উইকেটটিকে। টেস্ট ক্রিকেটের কুলদীপের প্রথম শিকার ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার(David Warner)। কুলদীপ বলেন, ‘ডেবিউ ক্যাপ পাওয়া ও প্রথম উইকেট নেওয়ার মুহূর্তটা সবসময় খুব বিশেষ হয়। আমার জন্যও ওটা খুব বিশেষ ছিল এবং আমি খুব খুশি ছিলাম। তোমরা বলটা দেখলে বুঝতে পারবে ওটা ফ্লিপার ছিল। কিন্তু আমি ওঁকে সেট-আপ করেছিলাম ফ্লাইটেড বলের জন্য। আমি জানতাম ওখানে এলবিডব্লিউ বা কট বিহাইন্ড হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু সোজা অজিঙ্ক রাহাণের(Ajinkya Rahane) হাতে ক্যাচ চলে যায়’।

ভারতীয় দলের আসন্ন ইংল্যান্ড সফরে দলে জায়গা করে নিতে না পারলেও কুলদীপকে(Kuldeep Yadav) ভারতীয় দলের শ্রীলঙ্কা সফরে সীমিত ওভারের সিরিজে খেলতে দেখা যেতে পারে। তাই কিন্তু তিনি এই লকডাউন পরিস্থিতিতেও নিজেকে ফিট রাখতে শারীরিক কসরত করে যাচ্ছেন। কুলদীপ বলেন, ‘এখন লকডাউন চলছে, তাই আমরা বাইরে বেরোতে পারছি না। প্র্যাক্টিস করা যাচ্ছে না। তবে আমি খুব পরিশ্রম করছি। আমার বাড়িতে ভালো জিম রয়েছে। আমি সেখানেই নিজের ফিটনেসের ওপর কাজ করছি আর কিছু শ্যাডো বোলিং করছি। আমি শ্রীলঙ্কা ট্যুরের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছি। আমি ট্যুরের আগে একদম তৈরি থাকব’।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.