রিভিউ বৈঠকে ছিলেন না মমতা
শুভেন্দুর ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। ছিলেন খড়গপুরের বিধায়ক হিরণও। শুভেন্দু অধিকারী এবং দেবশ্রী চৌধুরীর ওই বৈঠকে থাকার যৌক্তিকতা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিল রাজ্য। কানাঘুষো ছিল মুখ্যমন্ত্রী ওই বৈঠকে যোগ দেবেন না। বস্তুত, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা করে দেখা করলেও তাঁর ডাকা রিভিউ মিটিংয়ে যোগ দেননি মুখ্যমন্ত্রী। আর সেটা নিয়েই আক্রমণ শুরু করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি থেকে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী তীব্র আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
দুর্ভাগ্যজনক উদাহরণ
মমতাকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এই বিষয়ে একের পর এক টুইট করেছেন তিনি। রাজনাথ বলছেন,"পশ্চিমবঙ্গের আজকের ঘটনাক্রম চমকে দেওয়ার মতো। মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী কোনও ব্যক্তি নন, সংস্থা। দু'জনেই জনসেবা এবং সংবিধানের প্রতি নিষ্ঠা রাখার শপথ নেন। দুর্যোগের সময় বাংলার মানুষকে সাহায্য করার জন্য প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে এই ধরনের ব্যবহার যন্ত্রণাদায়ক। সাংবিধানিক কর্তব্যের থেকে সংকীর্ণ রাজনীতিকে উপরে রাখার দুর্ভাগ্যজনক উদাহরণ।"
এটা রাজনীতির সময় নয়
মমতার এই আচরণ নিয়েই এবার তীব্র কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। এনিয়ে ট্যুইটও করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। ট্যুইটে শুভেন্দু লেখেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর জন্য আজকের দিনটা কালা দিবস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের একবার প্রমান করলেম তিনি পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ভোগান্তির ব্যাপারে সংবেদনশীল নন। এনডিএর বাইরে থেকে অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কখনই এই ব্যবহার করেননি। এটা রাজনীতির সময় নয়, দিদি এটা বুঝলেন না। আম্ফানের পর রাজ্যে ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। এখনও রাজ্য প্রশাসন হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে।
চেয়ার ছিল ফাঁকা
উল্লেখ্য এদিণ রিভিও বৈঠক ডাকা হয়েছিল প্রধাণমন্ত্রীর তরফে। প্রধাণমন্ত্রীর সঙ্গে মমতা দেখা করলেও ছিলেন না ওই বৈঠকে। ইতিমধ্যে মিটিংয়ের ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে প্রধাণমন্ত্রীর পাশের আসণ ফাঁকা রয়েছে। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দখা করে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট দিয়ে এসেছি। তবে আমাকে দিঘায় আসতে হত, তাই বৈঠকে থাকতে পারিনি। উনি আমাকে বৈঠকে ডেকেছিলেন। তাই ওঁর সঙ্গে দেখা করে এসেছি। জানিয়ে এসেছি, দিঘায় আসতে হবে তাই বৈঠকে থাকতে পারছি না।