নয়াদিল্লি: করোনা (Corona) স্বস্তি? উত্তরটা বলার সময় এখনও আসেনি। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Health Ministry) পরিসংখ্যানে ক্ষণিকের স্বস্তি। দেশের করোনাগ্রাফ নিম্নমুখী। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ লক্ষের নীচে দৈনিক সংক্রমণ নেমেছে। দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যাও একদিনের হিসেবে কমেছে। অতিমারী (Pandemic) মোকাবিলায় রাজ্যে-রাজ্যে (States) লকডাউন (Lockdown) -সহ একাধিক বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তারই জেরে সংক্রমণের বিদ্যুৎ গতিতে খানিকটা হলেও লাগাম পরানো গিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে তছনছ দেশ। রাজ্যে রাজ্যে মাত্রাছাড়া সংক্রমণ। বাড়ছে মৃত্যু। দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ৪ লক্ষের গণ্ডিও পেরিয়ে গিয়েছিল মাত্র কয়েক দিন আগেই। করোনার সেকেন্ড ওয়েভের (Second Wave) মোকাবিলায় কার্যত নাজেহাল দশা কেন্দ্র (Central Govt) ও রাজ্য সরকারগুলির। এই আবহে শুক্রবার সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের করোনা পরিসংখ্যান ক্ষণিকের স্বস্তি বয়ে এনেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৩৬৪ জন। একদিনে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৬৬০ জনের। বৃহস্পতিবারের তথ্য অনুযায়ী, দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ২ লক্ষ ১১ হাজার ২৯৮ জন।
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গোটা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ কোটি ৭৫ লক্ষ ৫৫ হাজার ৪৫৭। দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ লক্ষ ১৮ হাজার ৮৯৫। এই মহূর্তে দেশে করোনা অ্যাক্টিভ কেস (Active Case) ২৩ লক্ষ ৪৩ হাজার ১৫২। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত দেশের ২০ কোটি ৫৭ লক্ষ ২০ হাজার ৬৬০ জন করোনার ভ্যাসকিন (Vaccine) নিয়েছেন।
অতিমারী মোকাবিলায় দ্রুত টিকাকরণের উপর জোর দিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশজুড়ে টিকাকরণের গতি বাডা়তে জোরদার তৎপরা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারও। তবে টিকার জোগান চাহিদার (Demand) নিরিখে অত্যন্ত কম থাকায় সমস্যা বাড়ছে। রাজ্যগুলিকে নিজেদের উদ্যোগে টিকা সংগ্রহ করতে আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এখানেই তৈরি হয়েছে বিপত্তি। টিকা উৎপাদনকারী একাধিক সংস্থা রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে চুক্তিতে (Deal) যেতে নারাজ। টিকা বিক্রি সংক্রান্ত সব চুক্তিই অধিকাংশ সংস্থা কেন্দ্রের সঙ্গেই করতে আগ্রহী। টিকা কিনতে গ্লোবাল টেন্ডার (Global Tender) ডেকেও সাড়া পায়নি একাধিক রাজ্যের সরকার।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.