স্টাফ রিপোর্টার, হাওড়া : ঝড়ে (storm) মাছ (fish) ধরতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। ঝড়ের সঙ্গে এসেছিল কোটাল। সেই সময়েই মাছ ধরতে গিয়ে হল মহাবিপদ। গলায় ঢুকে গেল আস্ত মাছ। চিকিৎসকের চেষ্টায় প্রাণ বাঁচল যুবকের।

ঘটনাটা ঠিক কী? ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (cyclone yaas) ও ভরা কোটালের জোড়া আঘাতে বিপর্যস্ত গ্রামীণ হাওড়ার শ্যামপুরের বহু গ্রাম। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও বেশ কিছু গ্রামে জল ঢুকেছে। এই পরিস্থিতিতে বহু মানুষই জমা জলে ঘুণি বা জাল নিয়ে মাছ ধরতে (fishing) গিয়েছিলেন। সেরকম ভাবেই মাছ ধরছিলেন শ্যামপুর-২ ব্লকের দেওড়া এলাকার বছর আটত্রিশের রণজিৎ সামন্ত। কিন্তু হঠাৎই ঘটে যায় বিপত্তি।

জানা গিয়েছে, রণজিৎ বন্যার জলে কই মাছ ধরছিলেন। একটি কই মাছ ধরে নিজের মুখের ভিতর দাঁত দিয়ে চেপে রেখে আরেকটি মাছ ধরতে যান। তখনই ঘটে যায় বিপদ। অসাবধানতাবশত মাছটি সটান তার গলার ভিতর চলে যায়। সাথে সাথেই কার্যত তার দমবন্ধ হয়ে আসে। শুরু হয় প্রবল শ্বাসকষ্ট। যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে রণজিৎ।

এই পরিস্থিতিতে তাকে উদ্ধার করে বিশিষ্ট সার্জেন সুদীপ্ত মল্লিকের বাগনানের নুন্টিয়া গ্রামের বাড়ির চেম্বারে আনা হয়। কোনোরকম অপারেশন ছাড়াই নিজ দক্ষতায় রণজিতের মুখের ভিতর আটকে থাকা জীবিত মাছটিকে বের করেন চিকিৎসক সুদীপ্ত মল্লিক।

চিকিৎসক সুদীপ্ত মল্লিক জানান,’খুবই ক্রিটিকাল বিষয় ছিল। যে কোনও সময় সম্পূর্ণ দমবন্ধ হয়ে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারত।’ তিনি আরও বলেন , ‘এই ধরনের কেস প্রথম মোকাবিলা করলাম। কোনওরকম অপারেশন ছাড়াই হিমলিচ মেন্যুয়েভার (Heimlich manoeuvre) পদ্ধতিতে ওই জীবিত মাছটি যুবকের গলা থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়।’

কী এই হিমলিচ মেন্যুয়েভার? কোনও ব্যক্তির গলায় খাবার আটকে যাওয়া দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হলে এই।পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। উক্ত ব্যক্তির গলা থেকে খাবার বা অন্যান্য ব্লকগুলি বিলোপের জন্য ব্যবহার করা হয় এই কৌশল। এটি খুবই সাধারণ প্রক্রিয়া।

একজন ব্যক্তি অন্যের পিছনে দাঁড়িয়ে, তাদের মুঠির সাহায্যে ব্যক্তির পাঁজরে পেটে এমনভাবে চাপ মারতে হয় যাতে পেটের বায়ুর ঊর্ধচাপে খাবার বাইরে বেরিয়ে আসে। পিঠের দিকে চাপ মেরেও এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.