স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: ইয়াস নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) রিভিউ মিটিংয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Shuvendu Adhikari) থাকলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) থাকবেন না৷ নয়াদিল্লিকে স্পষ্ট করে একথা জানিয়ে দিল নবান্ন৷ এই ঘটনার পর মমতা-শুভেন্দুর সংঘাত আরও বাড়ল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷
একুশের নির্বাচনী যুদ্ধের পর আজই প্রথম বৈঠক করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদী। ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনার জন্য শুক্রবার দুপুরে কলাইকুন্ডায় বৈঠক হওয়ার কথা তাঁদের। প্রাথমিকভাবে বৈঠকে শুধু প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর থাকার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে নবান্নকে জানানো হয়, বৈঠকে থাকবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু। সূত্রের খবর, ধনকড় এবং দেবশ্রীর নিয়ে কোনও আপত্তি জানানো হয়নি। কিন্তু শুভেন্দুর উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি জানান মমতা৷
তৃণমূলের বক্তব্য, শুভেন্দুকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবে ঘোষণা করেছে বিজেপি। কিন্তু তা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। যদিও এর পরেই শুভেন্দুর বিরোধী দলনেতার স্বীকৃতির চিঠি প্রকাশ করেছে বিজেপি।
পূর্ব নির্ধারিত সিডিউল অনুযায়ী আজ দুপুর ২.১৫ থেকে ২.৩০ পর্যন্ত মোদী-মমতার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। নবান্ন সূত্রে খবর, ওই সময়ে মোদীর সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান বৈঠক করতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন দেখার, প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে শুভেন্দু থাকলে মমতা সেখানে থাকেন কি না।
কলাইকুণ্ডাতে মুখ্যমন্ত্রী সহ শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, বৈঠকের পাশাপাশি, মু্খ্যমন্ত্রীকে সঙ্গী করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যে ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় রাজ্যকে ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা৷
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কেন্দ্র জানিয়েছে ইয়াসের আগে অগ্রিম বরাদ্দ হিসেবে অন্ধ্রপ্রদেশকে ৬০০ কোটি ও ওডিশাকে ৬০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। আর বাংলাকে দেওয়া হবে ৪০০ কোটি। এ কথা শুনে মমতা প্রশ্ন করেন, ‘আকারে বড় রাজ্য ও বেশি জনসংখ্যা থাকা সত্ত্বেও কেন বাংলার ক্ষেত্রে কম টাকা বরাদ্দ করা হল?’
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, ‘ঘুর্ণিঝড় ইয়াসে ১৩৪টি বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। ৩ লক্ষেরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত।’ জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে দিঘা থেকে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানতে চাইবেন। শনিবার সকালে দিঘার পর্যদুস্ত এলাকা পরিদর্শনে যেতে পারেন মমতা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.