স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: ইয়াস-এ ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর সহ কিছু জেলার মানুষের। সেখানকার বাসিন্দাদের দুয়ারে ত্রাণ পৌঁছে দেবে সরকার৷ প্রকল্পে কত ক্ষতি হলে কত টাকা আর্থিক সাহায্য মিলবে, তা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার৷

  ৩ জুন থেকে ‘দুয়ারে ত্রাণ’ (Duare tran) কর্মসূচি চালু হচ্ছে৷ বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পে বাড়ি মেরামত, কৃষি, পশুপালন ক্ষেত্র, – সবকিছুর পুনর্গঠনেই আর্থিক সাহায্য করবে রাজ্য সরকার। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে, কাঁচা বাড়ির ক্ষতি হলে ৫০০০ টাকা টাকা দেওয়া হবে৷ সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি হলে ২০,০০০ টাকা৷ কৃষিজমির ক্ষতি হলে ১০০০ থেকে ২৫০০০ টাকা দেওয়া হবে৷ পানচাষের ক্ষতি হলে মিলবে ৫০০০ টাকা৷ গবাদি পশুর মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ মিলবে ৩০,০০০ টাকা টাকা৷ এই কাজের জন্য  ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: করোনায় জর্জরিত দেশ, ইয়াস ত্রাণের টাকা চাই না: নবীন পট্টনায়েক

কীভাবে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হবে? বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, ‘‌আগামী ৩ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত ‘দুয়ারে ত্রাণ’ শিবিরে ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদন নেওয়া হবে।  প্রতিটি গ্রামে গ্রামে ক্যাম্প করবে সরকার। সেখানে গিয়ে সাধারণ মানুষ ক্ষতিপূরণের আবেদন করতে পারেন। এই আবেদন খতিয়ে দেখা হবে ১৯ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত। তার পরে ১ জুলাই থেকে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণের টাকা পৌঁছে যাবে বলেই জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন, ত্রান নিয়ে কোনওরকম বঞ্চনা বরদাস্ত করা হবে না।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Cyclone Yaas) পরবর্তী পরিস্থিতি পরিদর্শনে শুতক্রবার জেলা সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন সকালে তিনি প্রথমে পৌঁছলেন হিঙ্গলগঞ্জে। সেখানে প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে রিভিউ বৈঠক করেন তিনি। গোটা এলাকার বিস্তারিত ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট তলব করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা পরিদর্শন করে দেখেছিল গোটা এলাকা, বাড়িঘর, ইটভাটা সমস্টাই জলমগ্ন। বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা সরেজমিনে দেখেছি। পথশ্রী প্রকল্পে রাস্তা সারাই করা হবে। ত্রাণ নিয়ে খতিয়ান দেবেন আধিকারিকরা।’ দিঘার প্রশাসনিক বৈঠকেও  সেখানকার মানুষদের সবরকমভাবে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.