নয়াদিল্লি: ডিজিট্যাল ইস্যুতে চড়ছে পারদ। কেন্দ্রীয় আইন নিয়ে টুইটারকে(Twitter) কড়া বার্তা দিয়েছে সরকার। ভারতীয় আইটি আইন মেনে কাজ করতে হবে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এমনই কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। টুইটারে এবার নজরদারি চালাবে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক। কোনও রকম ক্ষতিকর বিষয়ে সরাসরি রাশ টানতে হবে টুইটারকে এমনই একাধিক বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।

ভারতের তথ্য প্রযুক্তি আইন নিয়ে বেজায় চটেছিল টুইটার (Twitter)। ভারতীয় আইন তাঁদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। পরোক্ষে ভারতের মানুষের বাক স্বাধীনতা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে দাবি করেছিল টুইটার। টুইটাের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে ভারতের নতুন তথ্য প্রযুক্তি আইনে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কোনও সামঞ্জস্য নেই। এই বিষয়টি নিয়ে তারা আরও আলোচনা চান। তারই পত্তুত্তরে কেন্দ্র থেকে স্পষ্ট জানানো হয়, ভারতে যথেষ্ট বাক স্বাধীনতা রক্ষা করা হয়। এবং ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ। তাকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা বন্ধ করা হোক। এটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। ভারতের তথ্য প্রযুক্তি আইন মেনেই কাজ করতে হবে টুইটারকে (Twitter)।

ভারতের তথ্য প্রযুক্তি আইন নিয়ে সতর্ক করে টুইটারকে ৩ মাস সময় দেওয়া হয়েছে । পাশাপাশি ফেসবুক (Facebook), টুইটার (Twitter) এবং ইনস্টাগ্রামের (Instagram) মতো বড় সংস্থা যদি সেই নিয়ম না মানে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ভারতে এই নতুন সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) প্ল্যাটফর্ম সংক্রান্ত নিয়ম, ২৬ মে ২০২১ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। এদিকে, বহু সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কেন্দ্রীয় সরকারের এই নয়া গাইডলাইনে (New Guidlines for Social Media)সায় না দিতেই জল্পনা চরমে ওঠে। সরকার সাফ জানিয়েছে, নিয়ম না মানলে ফৌজদারি মামলা পর্যন্ত হতে পারে। ভারত সরকারের গাইডলাইনে একমাত্র সাড়া দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় সদ্য পদার্পণ করা ‘কু’(Koo)। এদিকে, কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম জানিয়েছে, সম্পূর্ণ গাইডডলাইন মেনে চলতে তাদের ৬ মাস সময় লাগতে পারে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.