২৫ মে হাসপাতালে ভর্তি
১৮ মে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারপর থেকে তিনি বাড়িতেই ছিলেন। মঙ্গলবার ২৫ মে পরিস্থিতি কিছুটা খারাপ হওয়ায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেই সময় অক্সিজেনের মাত্রা নেমে গিয়েছিল ৮০-র কাছাকাছি। তিনি ভর্তি রয়েছেন চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তীর অধীনে।
৭ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড
তাঁর জন্য সাত সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ কৌশিক চক্রবর্তী ছাড়াও এই মেডিক্যাল বোর্ডে রয়েছেন, চিকিৎসক ধ্রুব ভট্টাচার্য, চিকিৎসক সৌতিক পণ্ডা। এই দলে রয়েছেন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের গৃহ চিকিৎসক সোমনাথ মাইতিও। ওছাড়াও রয়েছেন চেষ্ট স্পেশালিস্ট অঙ্কন বন্দ্যোপাধ্যায়, কার্ডিওলজিস্ট সরোজ মণ্ডল এবং অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট আশিস পাত্র।
বর্তমানে অবস্থা
শ্বাসকষ্ট এবং তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ভর্তি করানো হয়েছিল ২৫ মে। ১৮ মে তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। এদিন সকাল নটায় হাসপাতাল থেকে দেওয়া বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে বাইপ্যাপ সাপোর্টে রয়েছেন তিনি। ৪ লিটার করে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের মাত্রা রয়েছে ৯২ শতাংশ। এই মুহূর্তে তাঁর জ্ঞান রয়েছে। সাড়াও দিচ্ছেন তিনি। রক্তচাপও স্থিতির রয়েছে। হৃদস্পন্দন রয়েছে মিনিটে ৫৪। প্রস্রাবও হয়েছে সন্তোষজনক। নল ছাড়াই খেবার খেয়েছেন তিনি। তাঁকে ক্লেক্সেন, সলুমেড্রল ইঞ্জেকশন ছাড়াও এনিয়ে তৃতীয়দিন রেমডেসিভির ইঞ্জেকশনও দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অন্য সহায়ক ব্যবস্থাও রয়েছে।
ভাসতে চলেছে কলকাতা, বিপর্যয়ের আশঙ্কায় সতর্কতা জারি
একই হাসপাতালে ভর্তি স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য
ওই একই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যও। শুরুতেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে হাসপাতালে ভর্তি করতে না হলেও, মীরা ভট্টাচার্যকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। তিনি সোমবার বাড়িও ফেরেন। আর মঙ্গলবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরে প্যানিক অ্যাটাক হয় মীরা ভট্টাচার্যের। ফলে ওইদিন সন্ধের দিকে তাঁকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। বর্তমানে মীরা ভট্টাচার্য স্বাভাবিক আছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর অক্সিজেন স্যাচুরেশনও ৯৯% রয়েছে।