সোমবার শুনানির দিন ধার্য হয়েছিল বুধবারে
সোমবার হাইকোর্টে চার হেভিওয়েটকে নিয়ে নারদ মামলার শুনানি হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টে ৫ সদস্যের বেঞ্চে মামলার শুনানি হতেই সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই-এর আবেদনের কথা উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, কলকাতা হাইকোর্টে মামলা স্খগিত রাখা হোক। কেননা এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে সিবিআই। যদিও সিবিআই-এর সেই আবেদন খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্টে।
ইয়াসের কারণে ২ দিন কাজ বন্ধের নোটিশ
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আছড়ে পড়তে চলেছে। হাইকোর্টের তরফে মঙ্গলবার জানানো হয়েছিল, সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ২৬ ও ২৭ মে সমস্ত কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই কারণে ওই দুইদিন হাইকোর্টের কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে যান চলাচলে সমস্যা হতে পারে। তাই ২৬ ও ২৭ মে কোনও মামলার শুনানি করা হবে না। যার জেরে চার হেভিওয়েট নেতার গৃহবন্দি থাকার মেয়াদ বেড়ে যায়।
২৪ ঘন্টার মধ্যেই সিদ্ধান্ত বদল
যদিও কলকাতায় ইয়াসের সেরকম কোনও প্রভাব না পড়ায় বুধবার রাতেই সিদ্ধান্ত বদল করা হয় হাইকোর্টের তরফে। বুধবার রাতে জানিয়ে দেওয়া হয় বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় হাইকোর্টে নারদ মামলার শুনানি করা হবে। প্রসঙ্গত এই শুনানি হবে ভার্চুয়ালি।
সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খায় সিবিআই
যদিও মঙ্গলবারে সুপ্রিম কোর্ট থেকে নারদ মামলা তুলে নিতে বাধ্য হয় সিবিআই। মঙ্গলবার সিবিআই-এর আবেদন শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্টের অবসরকালীন বেঞ্চের দুই বিচারপতি দেখেন যে হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতি নারদ কাণ্ডের শুনানি করছেন। আর সেখানেও সওয়াল করছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। ফলে বিচারপতিদ্বয় বলেন, সিবিআই সুপ্রিম কোর্ট থেকে মামলা তুলে নিক। তাদের সব বক্তব্য হাইকোর্টের সামনেই রাখুক। সুপ্রিম কোর্টে সেই সময় বলেছিল ব্যক্তি স্বাধীনতা বজায় রাখতে হবে। এই বিষয়টিকে অন্য কিছুর সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া যাবে না। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ১৭ মে নিজাম প্যালেসের ধরনা দিয়ে যাঁরা আইন হাতে তুলে নিয়েছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।