আটজন অ্যাস্পারগিলোসিসের রোগী
ভদোদরার এসএসজি ও গোত্রী মেডিক্যাল, এই দুই সরকারি হাসপাতালে ২৬২ জন মিউর্কোমাইকোসিস রোগীর চিকিৎ চলছে। এরই মধ্যে এসএসজি হাসপাতালে গত কয়েক সপ্তাহে অ্যাস্পারগিলোসিসে আক্রান্ত হয়ে কমপক্ষে আটজন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এছাড়াও এসএসজি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ক্যানডিডা অউরিস, ইনভেসিভ, মাল্টি-ড্রাগ প্রতিরোধ ছত্রাক সংক্রমণ, যা কোভিড রোগীদের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে।
করোনায় সুস্থ বা চিকিৎসা চলছে রোগীদের মধ্যে এই সংক্রমণ
জেলা প্রশাসন ও শহরের কোভিড-১৯ উপদেষ্টা ডাঃ শীতল মিস্ত্রি বলেন, ‘পালমোনারি অ্যাস্পারগিলোসিস সাধারণত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় দুর্বল রোগীদের মধ্যে দেখা যায় তবে সাইনাসের অ্যাস্পারগিলোসিস বিরল। আমরা এটা কোভিড-১৯-এ সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের মধ্যে অথব চিকিৎসা চলছে এমন করোনা রোগীদের মধ্যে দেখতে পাচ্ছি। যদিও অ্যাস্পারগিলোসিস মিউর্কোমাইকোসিসের মতো অঙ্গছেদ করে না তবে এটা শরীরে হামলা করে। বর্তমানে এই ছত্রাক সংক্রমণগুলি অধিকাংশ সময় শরীরে রাইনো-অরবিটাল-সেরেব্রাল প্যাসেজের মাধ্যমে হানা দেয়।
অতিরিক্ত মাত্রায় স্টেরয়েডের ব্যবহার
মিস্ত্রি এর জন্য অবশ্য কোভিড রোগীদের শরীরে অতিরিক্ত মাত্রায় স্টেরয়েড ব্যবহারকেই দায়ি করেছে এবং এর পাশাপাশি অক্সিজেন সরবরাহ হাইড্রেট করার জন্য অ-জীবাণুমুক্ত জলের ব্যবহারও কিছুটা দায়ি বলে জানিয়েছেন তিনি। মিস্ত্রি বলেন, ‘ছত্রাকের সংক্রমণ প্রকৃতি থেকে সুবিধা খোঁজে এবং গ্লুকোজ থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে। তাই যে সব রোগীর ডায়বেটিস রয়েছে, তাঁদের করোনার চিকিৎসার সময় স্টেরয়েডের ব্যবহারের ফলে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। আমরা রক্তে (লিম্ফোপেনিয়া) লিম্ফোসাইটের স্বল্প পরিসংখ্যানও পর্যবেক্ষণ করছি যা প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে আপস করে এবং ছত্রাকের সংক্রমণের পথ তৈরি করে।'
নিজস্ব রং রয়েছে অ্যাস্পারগিলোসিসের
তবে চিকিৎসক বলেছেন, ‘অ্যাস্পারগিলোসিসকে কোনও রঙের কোড দেওয়া চলবে না এখনই। এটাকে হোয়াইট বা ইয়ালো ফাঙ্গাস বলা গেলেও এই ছত্রাকের নিজস্ব রং রয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা ব্রাউন, নীলচে সবুজ, হলদেটে সবুজ, সবুজ বা ধূসরও দেখা যাচ্ছে। তবে এই ছত্রাকের চিকিৎসা একই, অ্যাম্ফোটেরিসিন বি।'