নয়াদিল্লি: নতুন ডিজিটাল নীতি (New Digital Policy) তৈরি করেছে ভারত সরকার (Indian Govt)। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াগুলিকে (Social Media) নয়া নীতি (New Rules) সম্পর্কে বিশদে জানানো হয়েছে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রকের (Information and Broadcast Ministry) তরফে। কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Govt) নয়া নীতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াগুলি কী অবস্থান নিচ্ছে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সবিস্তারে তা জানাতে বলা হয়েছে। অনলাইন নিউজ (Online News) এবং ডিজিটাল মিডিয়া (Digital Media) , ওটিটি (Ott) প্ল্যাটফর্মের জন্য নির্দিষ্ট নীতি তৈরি করেছে কেন্দ্র।

কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর (Prakash Javrekar) জানিয়েছেন, ভুয়ো তথ্যের পরিবেশন এড়াতে কেন্দ্রীয় সরকার এই নয়া নীতি কার্যকর করতে চাইছে। ভারতবাসীর সুরক্ষার স্বার্থেই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া ডিজিটাল নীতির ফলে দেশবাসী খুশি বলেও দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের। কেন্দ্রের নয়া ডিজিটাল নীতিকে টুইটার (Twitter) স্বাগত জানালেও এখনও ক্ষোভ রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp) কর্তৃপক্ষের।

যদিও কেন্দ্রের নয়া ডিজিটাল নীতি নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের। ইতিমধ্যেই এই নীতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে সংস্থাটি। কেন্দ্রের নয়া নীতিতে সাধারণ মানুষের গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ হোয়াটসঅ্যাপের। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও হোয়াটসঅ্যাপকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক স্বাধীনতা রয়েছে, তবে সেক্ষেত্রেও যুক্তিগ্রাহ্য বিধি-নিষেধ থাকা উচিত। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া ডিজিটাল নীতি নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

যদিও সেই বিতর্কে কান দিতে নারাজ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। তিনি বলেন, ‘‘এই নীতির জেরে সাধারণ মানুষ খুশি।’’ অভিযোগ ওঠে, কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট মহলের থেকে কোনও পরামর্শ (Suggetion) না নিয়েই নয়া ডিজিটাল নীতি তৈরি করেছে। তবে সেই অভিযোগ উড়িয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী জাভড়েকর জানান, কেন্দ্র পরামর্শ করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এদিকে, ভারত সরকারের নয়া ডিজিটাল নীতি নিয়ে আপত্তি নেই জনপ্রিয় সোশ্যাল সাইট টুইটারের। ইতিমধ্যেই Twitter কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভারত সরকারের আইন মেনে এদেশে তাঁরা তাঁদের পরিষেবা মসৃণ গতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে উৎসাহী। কেন্দ্রীয় সরকারের তৈরি আইন মেনেই তাঁরা চলবে বলে জানিয়েছে টুইটার ।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.