তিনটে টিক তত্ত্ব
এর মধ্যে, হোয়াটসঅ্যাপের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া নতুন বিধি সম্পর্কে একটি উদ্ভট বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে বলা হয়েছে সরকার সব হোয়াটঅ্যাপ কল রেকর্ড করবে এবং মন্ত্রকের পদ্ধতির সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে যাবে আপনার ফোনটিও। এই মেসেজে এও বলা হয়েছে যে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে যদি তিনটে টিক চিহ্ন আসে তবে সরকার আপনার ভ।ক্তিগত মেসেজটি নোট করে নিয়েছে, আর যদি ২টি নীল একটি লাল টিক আসে তবে সরকার আপনার মেসেসের তথ্যটি যাচাই করছে। এরপর যখন তিনটে লাল টিক আসবে তখন বুঝে নিতে হবে যে সরকার তার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে।
ভুয়ো মেসেজ ছড়াচ্ছে নেট দুনিয়ায়
এই মেসেজটি একেবারেই ভুয়ো এবং মিথ্যা দাবি করা হয়েছে। সরকার এ ধরনের কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি। নতুন গোপনীয়তা আইন ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তায় প্রভাব ফেলবে এই বলে যখন হোযাটঅ্যাপ নতুন আইটি আইনের বিরুদ্ধে আদালতে যায়, সেই সময় সরকার জানিয়েছিল যে দেশের সার্বভৌমত্ব যদি কোনও হুমকির মুখে পড়ে সেক্ষেত্রে সরকার মেসেজের প্রথম প্রবর্তক কে সেটা চ্যাট ফোরামের কাছে শুধু জানতে চাইবে।
সরকারের নয়া আইটি আইন
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির ক্ষেত্রে, কেন্দ্র সরকার ভারতে একটি অভিযোগ দায়ের করার জন্য অফিসার নিয়োগ করবে। এছাড়াও অভিযোগের ব্যবস্থা স্থাপন এবং আইনী আদেশের ৩৬ ঘন্টার মধ্যে কনটেন্ট সরিয়ে নেওয়ার কথাও বলেছে সরকার। কিন্তু সেখানে কোথাও উল্লেখ নেই যে হোয়াটসঅ্যাপ কল রেকর্ড করা হবে এবং অতিরিক্ত টিক পদ্ধতির কথাও কোনওভাবে বলা নেই। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের নয়া আইটি আইনের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে হোয়াটসঅ্যাপ। তার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্র জানিয়েছে যে গোপনীয়তার অধিকার একটি মৌলিক অধিকার, ভারত সরকার তা জানে।
ভুয়ো মেসেজে বিশ্বাস নয়
সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপে ব্যবহারকারীর মেসেজে দু'টি টিক আসার অর্থ হল মেসেজটি দেখেছে বা পড়া হয়েছে। সুতরাং এ ধরনের ভুয়ো বার্তায় আমল না দেওয়ার জন্য সরকার আর্জি করেছে। এ ধরনের ফরোয়ার্ড করা মেসেজ একেবারেই ভুয়ো হয়। সঠিক তথ্যের জন্য ২০২১ সালের আইটি আইনটি দেখার কথাও জানিয়েছে সরকার।