দেহরাদুন: অ্যালোপ্যাথি (Allopathy) চিকিৎসা বিতর্ক ইস্যুতে বিস্ফোরক যোগগুরু রামদেব (Ramdev)। দিন কয়েক ধরেই অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে রামদেবের করা মন্তব্য নিয়ে ঝড় উঠেছে। আইএমএ-র (Ima) তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) চিঠি লিখে রামদেবের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে অ্যালোপ্যাথি চিকিসা সম্পর্কে ভুয়ো তথ্য ছড়ানো থেকে রামদেবকে আটকানোর আবেদন জানানো হয়েছে চিঠিতে। রামদেবের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলার হুমকি দিয়েছে আইএমএ-র উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) শাখা। এই ইস্যুতেই এবার যোগগুরু রামদেবের চ্যালেঞ্জ, ‘‘বাবা রামদেবকে কেউ গ্রেফতার (Arrest) করতে পারবে না।’’

করোনার (Corona) করাল গ্রাসে গোটা দেশ। এই আবহে যোগগুরু রামদেব অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে একটি মন্তব্য করেন। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। রামদেব বলেন, ‘‘অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার নামে তামাশা চলে। করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় অ্যালোপ্যাথি ওষুধ ব্যর্থ হচ্ছে।’’ গোটা বিশ্ব লড়ছে করোনার বিরুদ্ধে। দেশে-দেশে করোনার ভ্যাকসিন (Vaccine) তৈরির তৎপরতা তুঙ্গে। মারণ ভাইরাসকে কাবু করতে প্রতিদিন নতুন ওষুধের খোঁজ চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

এই পরিস্থিতিতে রামদেবের অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে করা মন্তব্যে বেজায় চটেছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (Indian Medical Association) । সংগঠনের তরফে রামদাবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে (Harsh Bardhan) চিঠি পাঠানো হয়। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে রামদেবকে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে করা তার মন্তব্যের জেরে রামদেবকে ক্ষমা চাইতে অনুরোধ জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী (Union Health Minister) । যদিও হর্ষ বর্ধনের আবেদনে ক্ষমা চেয়েছেন রামদেব। তবুও অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে তাঁর এখনও নানা প্রশ্ন রয়েছে।

লিখিতভাবে ক্ষমা না চাইলে রামদেবের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে আইএমএ-র উত্তরাখণ্ড শাখা। সেই প্রসঙ্গে এবার একটি ভিডিও-য় ফের বিস্ফোরক যোগগুরু। তিনি বলেছেন, ‘‘বাবা রামদেবকে কেউ গ্রেফতার করতে পারবে না।’’ উল্লেখ্য, অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে রামদেবের মন্তব্যের পরেই সোশ্যাল মিডিয়া-সহ (Social Media) দেশের চিকিৎসকদের নানা মহল থেকে প্রতিক্রিয়া এসেছে। গোটা বিশ্ব যখন করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসাকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে, ঠিক সেই আবহে রামদেবের এহেন মন্তব্য স্বভাবতই বিতর্ক তৈরি করেছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.