নয়াদিল্লি: করোনার (Corona Virus) টিকা নিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) আবেদন দিল্লির (Delhi) মুখ্যমন্ত্রী (Cm) অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal)। রাজ্যগুলিকে আলাদা আলাদা ভাবে করোনার টিকা কিনতে পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Govt) । কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে খুশি নন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই ইস্যুতে কেন্দ্রকে বিঁধে তাঁর টিপ্পনি, ‘‘পাকিস্তান (Pakistan) ভারত আক্রমণ করলে কি রাজ্য সরকারগুলি নিজেরা আলাদা আলাদাভাবে অস্ত্রের জোগাড় করত?’’ কেন্দ্রীয় সরকারেরই করোনার টিকা কেনার দায়িত্ব নিজের হাতে রাখা উচিত বলে মনে করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷
প্রাথমিকভাবে করোনার টিকা কেনার সব দায়িত্ব নিজের হাতে রাখলেও পরবর্তী সময়ে রাজ্যগুলিকে নিজেদের মতো করে করোনার টিকা কেনার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ যা নিয়ে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে রাজ্যে-রাজ্যে। টিকা (Vaccine) উৎপাদনকারী একাধিক সংস্থা রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে কোনও চুক্তিতে যেতে নারাজ। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গেই করোনার টিকা কেনার ব্যাপারে যাবতীয় চুক্তি করতে চায় তারা। রাজ্যগুলিকে আলাদা আলাদা ভাবে টিকা কেনার কথা বলায় কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যগুলিকে আলাদা করে টিকা কেনার কথা বলা হচ্ছে। রাজ্যগুলি উদ্যোগ নিলেও আলাদাভাবে তারা টিকা কিনতে পারেনি। অনেক রাজ্যের পাশাপাশি আমরাও গ্লোবাল টেন্ডার (Global Tender) ডেকেছি। টিকা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে ওঁরা আমাদের টিকা বিক্রি করতে রাজি হচ্ছে না।’’ এব্যাপারে কেন্দ্রকে বিঁধে কেজরিওয়াল আরও বলেন, ‘‘পাকিস্তান ভারত আক্রমণ করলে কি রাজ্য সরকারগুলি নিজেরা আলাদা আলাদাভাবে অস্ত্রের জোগাড় করত? তখন কেন্দ্র কি দিল্লিকে পরমাণু বোমা কিনতে বলত? উত্তরপ্রদেশ সরকারকে ট্য়াংক কেনার কথা বলা হতো?’’
এদিকে, দেশে ফের করোনাগ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী ৷ গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ১১ হাজার ২৯৮ জন। বুধবারের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা এদিন বেড়েছে। বুধবার ২ লক্ষ ৮ হাজার ৯২১ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ (Second Wave) শুরু হওয়ার পর দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা টপকে গিয়েছিল ৪ লক্ষের গণ্ডি। সেদিক থেকে বর্তমান আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও বুধবারের চেয়ে বৃহস্পতিবার মৃতের সংখ্যা কমেছে। বুধবার মৃতের সংখ্যা পেরিয়েছিল ৪ হাজারের গণ্ডি। বুধবার যেখানে ৪ হাজার ১৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল সেখানে বৃহস্পতিবারের রিপোর্ট বলছে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৮৪৭ জনের।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.