কঠিন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ
লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে দেওয়া চিঠিতে অধীর চৌধুরী সাধারণ মানুষের দুর্দশার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, ইয়াসের পরে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের বহু মানুষ দুর্দশাগ্রস্ত। এই ঝড় দুই রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিকে সামনের দিনগুলোতে খারাপ করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অধীর। সেই কারণে পিপিই কিট, অক্সিজেন সিলিন্ডার, ভেন্টিলেটর প্রয়োজন। এছাড়াও গ্লাভস, মাস্ক এবং অক্সিমিটারও প্রয়োজন বলে জানিয়ে তিনি।
এপিল্যাড ফান্ডকে ফের কার্যকরী করার দাবি
পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে, তিনি বিষয়টি নিয়ে স্পিকারের ওপরেই ভরসা রাখছেন বলে জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী। বন্ধ করে রাখা এমপিল্যান্ড ফান্ডকে ফের কার্যকরা করে তুলতে স্পিকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা। কেননা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কাজে গতি আসতে পারে এমপিল্যাড ফান্ড ফের চালু করা হলে। কোনও বাধা বিপত্তি ছাড়াই অবিলম্বে এই ফান্ড চালু করা উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
তলবিলে পড়ে থাকা অর্থ খরচে চিঠি
এর আগে নিজের সাংসদ এলাকা তহবিলে পড়ে থাকা অর্থের একাংশ মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরিতে খরচ করতে চিঠি দিয়েছিলেন কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্য সরকারকেও। এছাড়াও নিজের এলাকায় ডিআরডিও-র সহায়তায় ৫০০ বেডের কোভিড হাসপাতাল তৈরি করতেও কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছিলেন অধীর চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা
দিন কয়েক আগে সিবিআই-এর প্রধান বাছতে প্রধানমন্ত্রী এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন অধীর চৌধুরী। এর পরে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে অধীর চৌধুরীর কথা হয় বলে সূত্রের খবর। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন, ডিআরডিও মুর্শিদাবাদে কোভিড হাসপাতাল তৈরি করে দেবে। এক্ষেত্রে সফল হয়েছেন অধীর চৌধুরী। এবার স্পিকার ওম বিড়লা অধীর চৌধুরীর আবেদনে কতটা সাড়া দেন তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে দিন কয়েক।
১৫ জুন বাড়ল রাজ্যের কড়া বিধিনিষেধ, নবান্নে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর