নয়াদিল্লি: সম্প্রতি দিল্লি হাই কোর্ট (Delhi High Court) কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রশ্ন করেছে যে কেন মিউকরমাইকোসিস (Mucormycosis) বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগের ওষুধে চড়া আমদানি শুল্ক নেওয়া হচ্ছে।এবং দিল্লি হাইকোর্ট এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ওষুধের ওপর থেকে সব রকমের আবগারি শুল্ক ও আমদানি শুল্ক তুলে নিতে। কারণ হিসেবে হাই কোর্ট বলেছে যে এই রোগের ওষুধ জীবনদায়ী, তাই শুল্ক তুলে নেওয়া শ্রেয়।
” এই ওষুধ ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগে আক্রান্ত অনেক মানুষের জীবন বাঁচাতে কাজে লাগে। তাই আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করছি যেনো এই রোগের ওষুধের ওপর থেকে সব রকমের শুল্ক তুলে নেওয়ার কথা ভেবে দেখুক কেন্দ্র, কারণ ইতিমধ্যেই চাহিদা অনুযায়ী এই ওষুধের ঘাটতি রয়েছে।” এমনটাই জানিয়েছে কোর্ট। কেন্দ্রীয় সরকারের কৌশলী কীর্তিমান সিং জানিয়েছেন যে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্স ও অর্থ দপ্তরের সচিবকে হাইকোর্টের এই মতামত জানিয়ে দেওয়া হবে এবং এই ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে (media) প্রকাশিত খবর অনুযায়ী প্রায় প্রত্যেক দিন ব্ল্যাক ফাঙ্গাস (Black Fungus) রোগে আক্রান্তের (infected) সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা করোনা (Corona) প্যানডেমিকের মধ্যে একেও একটি প্যানডেমিক (Pandemic) হিসেবে মনে করছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বক্তব্য অনুযায়ী যে সমস্ত ব্যক্তিরা করোনা থেকে সেরে উঠছেন বা উঠেছেন তাদের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে এই সংক্রমন। যে সব রোগীদের আইসিইউতে (ICU) অক্সিজেন (Oxygen) থেরাপি হয়েছে সেখানের আদ্রতার জন্যই দেখা দিচ্ছে এই সংক্রমন। অক্সিজেনের ফ্লো মিটারে (Flow meter) ব্যবহৃত জল এই সংক্রমণের জন্য দায়ী বলে মনে করেছেন চিকিৎসকদের একাংশ। এছাড়াও বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity), করোনা চিকিৎসায় অতিরিক্ত মাত্রায় স্টেরয়েড (Steroid) ব্যবহার এই রোগের অন্যতম প্রধান কারন। এই রোগে নাক ও জিহ্বার রং বিবর্ণ হতে পারে। ঝাপসা দৃষ্টি শক্তি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা, বুকে ব্যাথা, কাশির সঙ্গে রক্তপাত, চোখে লালচে ভাবা, জ্বর, সর্দি, মাথা যন্ত্রণা, বমি ভাব এই রোগের উপসর্গ গুলির মধ্যে অন্যতম।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.