স্টাফ রিপোর্টার, নন্দীগ্রাম ও মুর্শিদাবাদ: বাজ পড়ে রাজ্যে মৃত্যু হল চার জন কিশোরের৷ এরমধ্যে দুজন নন্দীগ্রাম ও দুজন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা৷ গুরুতর জখম হন মুর্শিদাবাদের আরও ৬ জন। অন্যদিকে, নদিয়ার নাকাশিপাড়ায় বাজ পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পরের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিদ্যুতের তারে লেগে মৃত্যু হল নন্দীগ্রামের দুই কিশোরের। জানা গিয়েছে, ওই দুই কিশোরের নাম নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের এলাকায়। মৃত দুই কিশোরের নাম আকাশ পড়ুয়া (১৬), প্রীতম প্রধান (১৭)। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুজনকে রাস্তার ধারে ইলেক্ট্রিকের তারে জড়িয়ে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় মানুষজন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে ওই দুই কিশোরের।
আরও পড়ুন: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বারাণসীতে গঙ্গার জল হয়ে যাচ্ছে সবুজ, আতঙ্ক এলাকায়
অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় বাজ পড়ে ২ কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম – তাহাবুল শেখ (১৭) ও সহিদুল ইসলাম (১৬)। দু’জনে একই পরিবারের সদস্য। গুরুতর জখম হন আরও ৬ জন। আজ বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আচমকাই প্রবল ঝড় উঠে। সেই সময় মৃত ও আহতরা একটি ঝিলপাড়ে বসেছিলেন। ঝড় আসায় তাঁরা সেখান থেকে উঠে পাশেই একটি পরিত্যক্ত ঝুপড়িতে আশ্রয় নেন। সেই সময় ওই ঘরের উপরেই প্রচণ্ড জোরে বাজ পড়ে। ঘটনাস্থলেই ওই দু’জন যুবক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। বাকিরা আহত হয়ে এদিক ওদিক ছিটকে পড়েন।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন নিয়ে রামদেবের ‘ভুল তথ্য প্রচার’-এর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি IMA-র
পশ্চিমের (west) জেলা হয়ে ঝাড়খণ্ডের (jharkhand) দিকে ঝড় চলে যাওয়ার আগে বুধবার রাত থেকে একনাগাড়ে তুমুল বৃষ্টি (rain) হচ্ছে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে।
আবহাওয়া দফতরের শেষ আপডেট অনুযায়ী, ইয়াস এখন শক্তি খুইয়ে গভীর নিম্নচাপে (deep depression) পরিণত হয়েছে। অবস্থান ঝাড়খণ্ডের দক্ষিণে এবং কিছুটা রয়েছে ওডিশায় (odisha)। জামশেদপুরের ৬০ কিলোমিটার পশ্চিম উত্তর পশ্চিম ও রাঁচির ১১০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ পূর্বে। তার জেরে বৃষ্টি হচ্ছে এই সমস্ত জেলায়। পরে ভারী বৃষ্টি হবে পশ্চিমের জেলায়।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.