ধর্ম পালটে বিয়ে করেছেন এক যুবতী। আর বিয়ের পর থেকেই তাঁকে হুমকি দিচ্ছেন তাঁর বাবা। ওই যুবতি এবং তাঁর স্বামীর গায়ে যাতে কেউ হাত না দেয় সে ব্যাপারে পুলিশকে নির্দেশ দিল আদালত। ধর্মান্তরিত ওই যুবতিকে সবরকম যাতে নিরাপত্তা দেওয়া হয় সে নির্দেশ দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
বাবার হুমকি শুনে আতঙ্কে ছিলেন ওই যুবতি। এমনকি পরে হাইকোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিলেন ওই যুবতি। তাতেই এই নির্দেশ হাইকোর্টের।
মিরঠের পুলিশ সুপারকে জে জে মুনির নির্দেশ দিয়েছেন যাতে ওই যুবতি সুরক্ষিত থাকেন। এবং তাঁর পরিবারের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। আদালতে আবেদণকারী জানিয়েছেন, জন্মগতভাবে মুসলিম হলেও তাঁর হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস আছে। আর তাই বিয়ের পর হিন্দু ধর্ম এবং হিন্দু নাম নিয়েছেন।
গত ১৬ এপ্রিল মিরঠের আর্জ সমাজ মন্দিরে হিন্দু মতে বিয়ে হয় ওই যুবতীর। ওই দিনই রেজিস্ট্রির জন্যে আবেদন করেন তিনি এবং তাঁর স্বামী। যদিও এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে বিয়ে নথিভুক্ত হয়নি। যুবতীর এই সিদ্ধান্তে রীতিমত ক্ষুব্ধ হন তাঁর বাবা। বিয়ের পর থেকেই ওই দম্পতিকে খুনের হুমকি দিতে থাকেন।
হাইকোর্টের কাছে আবেদনকারী জানিয়েছেন, তিনি একজন প্রাপ্তবয়স্ক। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই প্রাণনাশের আশঙ্কাতে আছেন। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও এই ধরনের হুমকি দিচ্ছেন তাঁকে। কার্যত ভয়ে থাকতে হচ্ছে তাঁদের। আর সেই কারনে আদালতের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন ওই মহিলার।
শুনানিতে বৃহস্পতিবার আদালত যাতে নির্দেশ দিয়েছে যুবতীর পরিবারের কেউ ওই দম্পত্তির বাড়িতে না আসে। কোনও ভাবে যোগাযোগ না করার চেষ্টা করে। এমনকি ফোনেও কোনও ভাবে যোগাযোগ করা যাবে না বলে হাইকোর্টের নির্দেশ। আগামী ২৩ শে জুন ফের এই মামলার শুনানি।