বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী
সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে মেদিনীপুর। দিঘা, শঙ্করপুর সহ উপকূল এলাকাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গ্রামের মধ্যে ঢুকে গিয়েছে জল। জানা যাচ্ছে, গ্রামের মধ্যে সমুদ্রের জল ঢুকে যাওয়াতে একের পর এক গ্রাম ভেসে গিয়েছে। ভেঙ্গে গিয়েছে বোল্ডার, বাঁধ। এই অবস্থায় বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর, তিনি পূর্ব মেদিনীপুর অর্থাৎ যে এলাকা সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত, সেখানে পরিদর্শন করবেন। একইদিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও ইয়াসে তছনছ হয়ে যাওয়া দিঘা, সাগরের মতো এলাকা পরিদর্শনের কথা হেলিকপ্টারে। মনে করা হচ্ছে, প্রধাণমন্ত্রীর সঙ্গেই হয়তো আকাশপথে বন্যা বিধ্বস্ত এলাকাতে যেতে পারেন মমতা।
বৈঠক করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে
বাংলার পাশাপাশি ওডিশা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে বাংলাতেই বিশেষ নজর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর তাই প্রথমে এখানে আসছেন। মূলত পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকার পরিস্থিতি দেখবেন আকাশপথে। সূত্রের খবর, পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করতে পারেন নরেন্দ্র মোদী। বিপর্যয় পরবর্তী পরিস্থিতিতে কেন্দ্র-রাজ্য হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। উল্লেখ্য, আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দুর্যোগের সময় কোণও সংঘাত নয়। এই সময় কেন্দ্র এবং রাজ্য এক সঙ্গেই কাজ করবে। ফলে প্রধাণমন্ত্রীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে পারেন বলেই খবর।
মেদিনীপুরের একাধিক জেলা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
রাজ্যের মধ্যে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে মেদিনীপুর। আগেই এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিলেন। সেই মতো বহু মানুষকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয় নিরাপদ স্থানে। জানা গিয়েছে, একের পর এক বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। সমুদ্রের জল ঢুকে গিয়েছে গ্রামের মধ্যে। এই অবস্থায় শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন তিনি। অতি শক্তিশালী ওই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একাধিক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পর পর বৈঠক করবেন মমতা
অন্যদিকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সুন্দরবণ, কাকদ্বীপ, হিঙ্গলগঞ্জ সহ একাধিক জায়গা। আর এরই মধ্যে ভরা কোটালের কারণে জলস্তর বেড়ে গিয়ে সুন্দরবনের একাধিক জায়গা প্লাবিত হয়েছে। সেই সব এলাকাতেই পরিদর্শনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ২৮ মে দু'দিনের সফরে বেরচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই দিন দুপুরে প্রথমে হিঙ্গলগঞ্জে যাবেন তিনি। ঘুরবেন সুন্দরবন। তার পর সাগরে একটি বৈঠক করবেন। সেখান থেকে চলে যাবেন দিঘায়। ত্রাণের কাজ খতিয়ে দেখতে ২৯ মে দিঘায় একটি বৈঠক করে তার পর কলকাতায় ফিরবেন তিনি।
১ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১ কোটি মানুষ। নবান্নে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেণ, প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ায় বাঁচানো গিয়েছে। গত ১৫ দিন ধরে কার্যত যুদ্ধকালীন ততপ্রতায় মানূষকে সরানোর কাজ করা হচ্ছিল। কেন্দ্র এবং রাজ্যের এজেন্সিগুলি একসঙ্গে হাতে হাত লাগিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করে। শুধু তাই নয়, ভারতীয় সেনাবাহিনীও উদ্ধারকাজে নামে। সবার প্রচেষ্টার ফলেই ব্যাপক অংশে মৃত্যু ঠেকানো গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে একজনের মৃত্যুর খবরও জানিয়েছেন মমতা। তবে সেটা ‘অ্যাক্সিডেন্টাল ডেথ' বা দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু বলে্ উল্লেখ করেছেন তিনি।