নয়াদিল্লি: ভারতে মে মাস অবধি প্রায় ৪.৫ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে। এপ্রিল মাসেই ঘোষণা করা হয়েছিল যে মে মাস থেকেই ১৮ বছর বয়সীরা করোনা ভ্যাকসিন (corona vaccine) পাবেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের রোজকার ভ্যাকসিনেশন সংক্রান্ত রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে যে ১ মে থেকে ২৫ মে র মধ্যে প্রায় ৪.৫ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। বুধবার সকাল ৭ টা অবধি ভারতে সর্ব মোট ২০০,৬৬২,৪৫৬ বা ২০ কোটির ওপর ভ্যাকসিন ডোজ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। বিগত সপ্তাহে পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রায় প্রত্যেক দিন ১৫ লক্ষ ডোজ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এপ্রিল মাসেই এই সংখ্যাটা ছিল সপ্তাহ প্রতিদিন ২৭ লক্ষ। এখন যদি রোজ ৩০ লক্ষ করেও ভ্যাকসিন ডোজ দেওয়া হয় তবে মে মাসের মোট ডোজের সংখ্যা এপ্রিল মাসের মোট ডোজের ৭০ শতাংশ হবে।

ভ্যাকসিনের ডোজের সংখ্যা কমে যাওয়ার ফলে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে কারণ তাদের মতে ১৮ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হওয়ার পর মোট সংখ্যা বাড়ার তুলনায় কমেছে। ” নিশ্চয়ই কোথাও কোনো ভুল হচ্ছে। হয়তো সরকার মোট ভ্যাকসিন উৎপাদনের পরিমাণ আমাদের সামনে আনছেন না।” এমনটাই মত মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আর. রামাকুমারের।

এই মুহূর্তে ভারতে অক্সফোর্ড – অ্যাস্ট্রাজেনেকা নির্মিত কোভিশিল্ড (covishield) ও ভারত বায়োটেক নির্মিত কোভ্যাকসিন (covaxin) দেওয়া হচ্ছে। ৯ই মে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme court) জমা দেওয়া এক হলফনামায় কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে যে ভারতে অক্সফোর্ড – অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন তৈরীর দায়িত্বে থাকা সিরাম ইনস্টিটিউট মাসে ৬৫ মিলিয়ন ও ভারত বায়োটেক মাসে ২০ মিলিয়ন ভ্যাকসিন উৎপাদন করবে।এখন সমগ্র দেশবাসী সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে বসে রয়েছে যে কত দ্রুত ভারতের বেশিরভাগ মানুষকে ভ্যাকসিনেশন করা যায়। কারণ চিকিৎসকদের মতে এই করোনা অতিমারির সঙ্গে লড়াই করতে হলে খুব দ্রুত যতদূর সম্ভব মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে হবে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.