প্রতিটা ঝড় আসে আর ভাসিয়ে নিয়ে যায় মানুষের স্বপ্ন, আশ্রয়, সৃষ্টি। এবার ইয়াসের (yaas) দাপটও তেমনটাই হয়েছে।

তবে এই প্রসঙ্গে গত বছরের আমফানের কথা না বললেই নয় (amphan)। তবে আরো এক ভয়াল রূপ দেখেছিলো রাজ্য (1864 cyclone)।

সেটা ছিল অন্য আরেকটি ঘূর্ণিঝড়।

১৮৬৪ সালে বয়ে যাওয়া সেই সাইক্লোনের (1864 cyclone) বিধ্বংসী রূপ আরো একবার মনে পড়ছে রাজ্যবাসীর।

১৫৬ বছর আগেও একটি ঝড় কলকাতাকে তছনছ করে দিয়েছিল (1864 cyclone)।

১৮৬৪ সালে কলকাতা তখন নতুনভাবে তৈরি হচ্ছে সাহেবদের হাতে।

৫ ই অক্টোবর গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহরটির নিকটস্থ বন্দর এলাকা খেজুরি ভোরের দিকে হঠাৎই থমথমে হয়ে যায়।

ঘণ্টাখানেক পর শুরু মুষলধারে বৃষ্টি ও তুমুল ঝড়। আবারও শান্ত সব।

শেষে আরো একটু বেলা গড়াতেই প্রভাব বিস্তার করলো ভয়ানক সাইক্লোন (1864 cyclone)। জাহাজ, নৌকাসহ বাড়িঘর, মানুষ, পশু সবই ভেসে যাচ্ছে জলের তোড়ে।

সেই সময়ের বেঙ্গল এডমিনিস্ট্রেটিভ তথ্য বলছে যে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার খেজুরি, কৌখালির মতো জায়গায় ১৩ ফুট উঁচু ঢেউ নাকি দেখতে পাওয়া গিয়েছিল।

উন্নত আবহাওয়া ব্যবস্থা (weather report) ও যোগাযোগ মাধ্যম না থাকায় বেশ ফল ভুগতে হয়েছিল বাংলাকে।

তখন আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা যায়নি।

অন্তত ৬০ হাজার মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল রিপোর্ট অনুযায়ী।

ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৯৯ হাজার ২০০ টাকা সরকারি হিসেবে।

হিজলি আর খেজুরি বন্দর সবথেকে বেশি ঝড়ের মুখে পড়েছিল।

বিপুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল হাইকোর্ট, টেলেগ্রাফ দপ্তরের বিল্ডিং, জেলসহ একাধিক সরকারি সম্পত্তি।

প্রথমে উত্তরপূর্ব দিক থেকে হাওয়া বইতে থাকলেও পূর্বদিক থেকে হঠাৎ করেই বইতে থাকে হাওয়া।

ধীরে ধীরে ঝড়ের তীব্রতা বাড়তেই হঠাৎ ঝড়ের অভিমুখ পাল্টে যায়।

প্রায় এক ঘণ্টা দক্ষিণ পশ্চিম প্রান্ত থেকে ঝড় বয়েছিল।

সঙ্গে ছিল প্রবল সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস যার কবলে হারিয়ে যায় বসতবাড়ি, মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীরাও।

বিকেল ৫টা নাগাদ এর দাপট কমে আসে (1864 cyclone)।

প্রসঙ্গত, ইয়াসের তান্ডব এখনও চলছে (yaas)। এর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় অনবরত বৃষ্টি হয়েই চলেছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.