সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় : কোটাল, সঙ্গে জোয়ার। সুন্দরবনের (sundarban) মতোই সেই জলেই বিধস্ত শ্যামপুর। সৌজন্যে রূপনারায়ণের(rupnarayan) রুদ্র রূপ। জানা গিয়েছে বুধবারের পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবার জোয়ারে কাহিল অবস্থা শ্যামপুরের(shyampur)। একের পর এক গ্রাম(village) জলের তলায় চলে গিয়েছে।

শ্যামপুর গাদিয়ারা(gadiara) অঞ্চলের বাসিন্দা অনির্বাণ মণ্ডল । তিনি জানিয়েছেন, ‘আমফানে (umpun)এত ক্ষতি হয়নি, যে ক্ষতিটা হচ্ছে এবারে। ইয়াস ঝড়ে কিছু হয়নি, আমাদের এই অঞ্চলকে মেরে দিয়েছে কোটালের জল। একনাগাড়ে জল ঢুকছে। কিছুতেই আটকানো যাচ্ছে না।’

রাজীব সেনাপতি জানিয়েছেন, ‘আমাদের বাবা কাকারা বলছে ওরা তো কোনওদিন এমন জল ঢুকে পড়া দেখেয়নি, তার আগের প্রজন্মও এই পরিস্থিতি কোনওদিন দেখেনি। কোটালের পর এবার মারছে জোয়ার। জল বেরোনোর জায়গাই পাচ্ছে না।’ জাহিদুল খান বলেছেন, ‘এমন অবস্থা হবে বুঝতে পারিনি। বৃষ্টিও যে খুব হয়েছে তা নয়। জলস্ফীতিই সব সমস্যার কারণ।’

শ্যামপুর ত্রাণ নিয়ে পৌঁছে গিয়েছে স্বপ্ন দেখার উজান গাং। সংগঠনের প্রধান পৃথ্বীশরাজ কুন্তি বলেন, ‘ইয়াসের চেয়েও ভরা কোটালের জেরে ব্যাপকভাবে বিধ্বস্ত গ্রামীণ হাওড়ার শ্যামপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। কিছু বোঝার আগেই একের পর এক বাঁধ ভেঙে জল ঢুকতে শুরু করে রূপনারায়ণ তীরবর্তী গ্রামগুলিতে। জলের তোড়ে ভেঙে পড়েছে বহু বাড়ি।’

একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আশ্রয়হীন বহু মানুষ। এই বিপর্যয়ের খবর পেয়েই বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে শ্যামপুর-২ ব্লকের একাধিক গ্রামে পৌঁছেছে আমাদের ‘স্বপ্ন দেখার উজান গাঙ’-এর যোদ্ধারা। ঝুমঝুমি, সাঁইবেড়িয়া, বানিয়া গ্রামের পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে বিপর্যস্ত মানুষের সাথে কথা বলেন আমাদের সদস্যরা। বুধবার রাতে আবার কোটাল আসে। সকালে জোয়ার। অবস্থা শোচনীয়। অনেকে বাড়ি ছাড়তে চাইছে না। মানুষকে বুঝিয়ে নিকটবর্তী স্কুলে পাঠানোর পাশাপাশি তাদের জিনিসপত্র অস্থায়ী ত্রাণশিবিরে পৌঁছে দিচ্ছে আমাদের যোদ্ধারা।’

পৃথ্বীশের কথায়, ‘আমাদের সাধ থাকলেও সাধ্য সীমিত। তাই আমাদের সীমিত ক্ষমতা নিয়েই এই বিপর্যয়ে মানুষের পাশে থাকতে সদা প্রস্তুত আমাদের যোদ্ধারা। লড়াইটা আরও অনেক কঠিন হল। আমরা দৃঢ় প্রত্যয়ী, এই লড়াইয়ে আপনাদের পাশে পাবে স্বপ্ন দেখার উজান গাঙ।’ ঝড় (storm) চলে যাচ্ছে পশ্চিমের(west) জেলা হয়ে ঝাড়খণ্ডের (jharkhand) দিকে। কিন্তু তার আগে এবার রাত থেকে নাগাড়ে বৃষ্টির পর তুমুল বৃষ্টি(rain) হচ্ছে হয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, বীরভূম , মুর্শিদাবাদে।

শেষ আপডেট অনুযায়ী ইয়াস এখন শক্তি খুইয়ে গভীর নিম্নচাপে (deep depression) পরিণত হয়েছে। অবস্থান ঝাড়খণ্ডের দক্ষিণে এবং কিছুটা রয়েছে ওডিশায়(odisha)। জামশেদপুরের ৬০ কিলোমিটার পশ্চিম উত্তর পশ্চিম ও রাঁচির ১১০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ পূর্বে। তার জেরে বৃষ্টি হচ্ছে এই সমস্ত জেলায়। পরে ভারী বৃষ্টি হবে পশ্চিমের জেলায়।

পূর্বাভাস বলছে, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এগুলি সবই পশ্চিমের জেলা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিমের জেলা-সহ উত্তরের মালদা, মুর্শিদাবাদেও। সেটাই হচ্ছে। ডিভিসি জল ছাড়লে ভাসতে পারে বহু জেলা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.