বার্মিংহ্যাম: ধীরে-ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে যুক্তরাজ্য(UK)। চলতি মাসে সেদেশের বিভিন্ন আউটডোর স্পোর্টিং ইভেন্টে স্টেডিয়ামে ২৫ শতাংশ দর্শক ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আগামী মাস থেকে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সরাসরি অনুমতি প্রদান নয়, বরং পরীক্ষামূলক ট্রায়ালের মধ্যে দিয়ে যেতে চাইছে প্রশাসন। আগামী ১০ জুন এজবাস্টনে(Edgbaston) শুরু হতে চলা ইংল্যান্ড বনাম নিউজিল্যান্ড টেস্ট ম্যাচকে তারা দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রথম পরীক্ষামূলক ট্রায়ালের আওতায় আনছে।
বার্মিংহ্যামের(Birmingham) এজবাস্টনে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে প্রাত্যহিক ১৮ হাজার দর্শক স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখতে পারবেন। শতাংশের নিরিখে সংখ্যাটা স্টেডিয়ামের দর্শকাসনের ৭০ শতাংশ। সরকারের কোভিড(COVID-19) সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করার যে পরবর্তী ধাপ, এজবাস্টন টেস্টকে সেই পরবর্তী ধাপের পাইলট ইভেন্টের(Pilot Event) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আগামী ১০-১৪ জুন এজবাস্টনে ‘কিউয়ি'(Kiwi)-দের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট খেলবে ‘থ্রি-লায়ন্স'(Three Lions)।
তবে লর্ডসে(Lord’s) আগামী ২ জুন থেকে শুরু হতে চলা প্রথম টেস্ট ৭ হাজার অর্থাৎ, ২৫ শতাংশ দর্শকের উপস্থিতিতেই অনুষ্ঠিত হবে। বার্মিংহ্যামে দ্বিতীয় টেস্টে স্টেডিয়ামে প্রবেশের জন্য দর্শকদের টিকিটের পাশাপাশি পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় ল্যাটারাল ফ্লো(Lateral Flow) টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক। ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের(England and Walse Cricket Board) মুখ্য আধিকারিক টম হ্যারিসন(Tom Harrison) বলেছেন, ‘ক্রিকেট মাঠে দর্শক প্রত্যাবর্তন খেলার স্বার্থে যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনই সমর্থকদের জন্যও। বিগত ১৫ মাস ধরে আমরা উপলব্ধি করেছি যে ক্রিকেটের সঙ্গে কত মানুষের জীবন জড়িয়ে থাকে। আগামী মাস থেকে স্টেডিয়ামে একটা বড় সংখ্যায় দর্শক ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আমরা মুখিয়ে রয়েছি।’
২০২০ কোভিড আবহে ইংল্যান্ডের মাটিতেই প্রথম ক্রিকেট ফিরেছিল। তবে প্রশাসনের কঠোর গাইডলাইন মেনে গতবছরের পুরো সময়টাই স্টেডিয়ামে দর্শক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। যুক্তরাজ্য জুড়ে মারণ ভাইরাসের প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়লেও দফায়-দফায় লকডাউন(Lockdown) টিকাকরণে(Vaccination) গতি সাম্প্রতিক সময়ে করোনাকে হারাতে অনেকটাই সহায়তা করেছে। আপাতত যে সকল কোভিড গাইডলাইন বলবৎ রয়েছে আগামী ২১ জুন সেগুলোও প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়ান্ট(Indian Variant) যুক্তরাজ্য প্রশাসনের এখন সবচেয়ে মাথাব্যথার কারণ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.