ভোটের ফল বেরনোর পরেই তৃণমূলের দরজায় লাইন
ভোটের আগের চিত্রটা ভোটের ফল বেরনোর পরেই পাল্টে যায়। বিজেপি নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় অনেক পরিকল্পনাই ভেস্তে যায় দলবদলকারীদের। ফলে একে একে নেতা নেত্রীরা নিজেদেরকে জল ছাড়া মাছের সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেছেন। এব্যাপারে সব থেকে আগে চারবারের তৃণমূল বিধায়ক তথা একসময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পার্শ্বচর বলে পরিচিত সোনালী গুহ। এরপর দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে তৃণমূলের টিকিট পেয়েও বিজেপিতে যোগ দেওয়া সরলা মুর্মু। তারপরে ওই জেলারই প্রভাবশালী নেতা অমল আচার্য।
ছয়মাস নজরদারির পক্ষে সৌগত রায়
নির্বাচনের আগে দলবদল করা একদল নেতানেত্রীর দলে ফিরতে চাওয়া নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র সৌগত রায় দাবি করেছিলেন, রোজ তাঁকে অনেকেই ফোন করছেন, দলে ফিরতে চেয়েছ। কিন্তু তিনি আগামী ছয়মাস এঁদের দলে না ফিরিয়ে মনিটরিং-এর পক্ষে। তাঁর স্পষ্ট কথা যাঁরা দল ছেড়েছিলেন, তাঁরা সামনের ছয়মাসে দলে ঢুকতে পারবেন না। কেননা যদি এইসব নেতানেত্রীদের এখনই দলে নেওয়া হয়, তাহলে নির্বাচনে যাঁরা যান কবুল করে দিয়েছিলেন, তাঁরা হতাশ হবেন।
বার্তার পরেই আর্জি প্রাক্তন মন্ত্রী
তৃণমূল সূত্রে খবর সৌগত রায় এই বার্তা দেওয়ার পরেই দলে ফিরতে চাইছেন প্রাক্তন মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে তিনি কলকাতা এসে ১০ মার্চ দিলীপ ঘোষ এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তৎকালীন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী। বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি নিজের পুরনো পেশা শিক্ষকতাতেই ফিরতে চাইছেন।
বিজেপিতে থেকেও গোপনে তৃণমূলের হয়ে কাজ
প্রসঙ্গত বিজেপি যোগ দেওয়ার সাতদিনের মধ্যেই বাচ্চু হাঁসদা তৃণমূলে ফিরতে চেয়েছিলেন। বিজেপি সূত্রে খবর, দলে নেওয়া হলেও, তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় তাঁকে প্রচারের কাজে ব্যবহার করা হয়নি। অন্যদিকে বাচ্চা হাঁসদা নিজে দাবি করেছেন, দলে সরাসরি না ফিরলেও, তৃণমূলের হয়ে গোপনে কাজ করেছিলেন। তিনি দাবি করেছে, দল যদি সেই সময়ই তাঁকে গ্রহণ করত, তাহলে তিনি সক্রিয়ভাবে প্রচার করতে পারতেন এবং গঙ্গারামপুর এবং বালুরঘাট আসন দুটি দলের হাতে তুলে দিতে পারতেন। দল তাঁকে ফিরিয়ে নিলে তিনি পুরোপুরি কাজ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন বাচ্চু হাঁসদা।