সাহারানপুর : বিশ্বজুড়ে বইছে করোনার হাওয়া। মারণ ব্যাধির দ্বিতীয় ঢেউ তান্ডব চালাচ্ছে ভারতেও। এই অবস্থায় সংক্রমণ ঠেকাতে চলছে বিভিন্ন রাজ্যে দফায় দফায় লকডাউন। করোনার প্রথম ওয়েভের রেশ কাটতে না কাটতে থাবা বসিয়েছে দ্বিতীয় ঢেউ। ফলে এই অবস্থায় ফের জারি হয়েছে লকডাউন।
সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের কারণে বন্ধ সমস্ত দোকানপাট, বাজার, কলকারখানা, স্কুল কলেজ, অফিস কাছারি। আর এতেই যেন শাপে বর। করোনা পরিস্থিতির জেরে মানুষের অনেক ক্ষতি হলেও প্রাণভরে তাজা শ্বাস নিচ্ছে প্রকৃতি।যার প্রমাণ মিললো ফের।
গত বছরের মতো এবারও লকডাউনে দূষণের মাত্রা কমে যাওয়ায় বাড়ির ছাদ থেকেই দেখা মিললো গিরিরাজ হিমালয়ের (Himalaya)। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর (UP) জেলার একাধিক বাড়ির ছাদ থেকে দেখা মিললো তুষারাচ্ছন্ন হিমালয় পর্বতের।এ দৃশ্য যেন চোখের শান্তি। ভ্রমণ পিপাসু মানুষের ঘরে বসেই হিমালয় দর্শনের সাধ মেটাচ্ছে লকডাউন (Lockdown)।
জানা গিয়েছে, আরব সাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় তউকতের(Tauktae) কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই বৃষ্টিতে ভিজেছে মুম্বই, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, উত্তরাখন্ড এবং উত্তরপ্রদেশের (Uttarprades) কিছু অংশ। যার জেরে বাতাসের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) অনেক কম থাকায় সাহারাণপুরের বিভিন্ন বাড়ির ছাদ থেকেই দেখা গিয়েছে হিমালয় পর্বতকে।
এদিন হিমালয়ের এই অপরূপ শোভা নিজের টুইটার পেজে শেয়ার করেছেন ইন্ডিয়ান ফরেস্ট অফিসার রমেশ পান্ডে(Ramesh Pande)। ছবিগুলি শেয়ার করার পর ইমেজ ক্যাপশনে তিনি আরও লিখেছেন, “ঘূর্ণিঝড় তউকতের কারণে ঝড়বৃষ্টি হওয়ায় বাতাসে দূষণের মাত্রা কমে যাওয়ায় বাড়ির ছাদ থেকেই দেখা যাচ্ছে হিমালয়।”
শুধু রমেশ পান্ডেই মোহময়ী এই হিমালয়ের আরও সুন্দর সুন্দর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন সাহারানপুরের কমিশনার সঞ্জয় কুমার। তিনি লিখেছেন, “তউকতের কারণে প্রচুর ঝড়বৃষ্টি হওয়ায় বিশুদ্ধ বাতাসে দৃশ্যমান হিমালয়।”
শুধু তিনি একা নন। লকডাউনে গৃহবন্দি হয়ে এমন অপার সৌন্দর্যের সাক্ষী থাকতে পেরে আপ্লুত সাহারানপুরবাসী। উচ্ছ্বাস ছড়িয়েছে নেটপাড়াতেও।
উল্লেখ্য, এর আগেও ২০২০ সালের লকডাউনের সময় গৃহবন্দি থাকার কারণে সাহারানপুর জেলার বিভিন্ন বাড়ির ছাদ থেকে দেখা গিয়েছিল হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের একাধিক বাড়ি থেকেই এমন স্বর্গীয় দৃশ্যের সাক্ষী ছিলেন সেখানকার বাসিন্দারা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.