কলকাতা: ‘এই পোশাকটির ট্যাগ এখনো খোলা হয়নি। অবশ্য এখনো অব্দি এই পোশাকটি পড়ে করে বাইরে বেরোইনি। বারংবার আমি ইন্ডাস্ট্রির ভেতরের মানুষ এবং বাইরের মানুষদের দ্বারা বডি শেমিং এর শিকার হয়েছি, মোটা হওয়ার দরুন। কেউ বলেছে,দিদি এতো তো জিম করেন তাও একটু ও কমেননি।
এই চিন্তাধারাটা বহু যুগ ধরে চলে আসছে। আমার স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে আমি খেতে ভালোবাসি। আমার বংশগত জিন ও মেটাবলিজমের কারণেই আমার শরীরের এই গড়ন। আমি নিয়মিত এক্সারসাইজ এর মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করি। ফিট হওয়াটা জরুরী।
গর্বের সঙ্গে আমি বলতে পারি যে আমি চল্লিশের দশকের মাঝের চেয়ে এখন তিনি ২০ দশকের চেয়ে অনেক বেশি ফিট। তবে এখনো হাঁটুর সমস্যা আছে। তবু এই এই ড্রেসে পুরোপুরি ফিট।’- বডি শেমিং (Body shaming) এর মত নোংরা রুচিকে এই ভাবেই বিদ্ধ করলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র(Shreelekha Mitra)। কার্যত অভিনেত্রী বুঝিয়ে দিলেন তার কাছে সুস্থ-সবল থাকাটাই আসল রোগা বা মোটা হাওয়া নয়। সঙ্গে অভিনেত্রী সবাইকে এই সময় সুস্থ থাকতে অনুরোধ করেছেন।
এবার আসা যাক অভিনেত্রীর এই পোস্ট লেখার উৎপত্তিস্থল কোথা থেকে। বুধবার সকালে অভিনেত্রী নিজের ফেসবুক পেজে নতুন নিজের দুটি ছবি শেয়ার করলেন। একটি মিরর সেলফি অন্যটি একটি নিজস্বী। গোলাপি অফ সোল্ডার ওয়ান পিস সাথে চুল হাল্কা করে বাঁধা আর লাল লিপস্টিকের সাথে হাল্কা মেক আপ। এই ছবিতে অভিনেত্রীর বক্ষ বিভাজিকা বেশ স্পষ্ট।
এরপর এই অভিনেত্রী পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী এবং বিজেপিতে যোগদান কারী রিমঝিম মিত্র (Rimjhim Mitra)এর একটি কমেন্ট। যেখানে লেখা,’থলথলে বৌদি আমাকে ব্লকিয়েছে। কমরেট মাংস পিন্ড কি এটা ঠিক করলো আমার সঙ্গে? মুদি মাস্ট রিসাইন?
শ্রীলেখাও উত্তরে লিখেছেন, ‘আগে নিজের দিকে নজর দাও। চাই না এটা নিয়ে খবর হোক। বেশি পাত্তা পেয়ে যাবে।’এসবে পাত্তা না দিয়ে সকল অনুগামীদের ইয়াশ ঘূর্ণিঝড়ে সকলকে সাবধানে থাকার বার্তা দেন। অভিনেত্রী বুঝিয়ে দিলেন প্রতিটি মানুষের শরীরে তার নিজস্ব সম্পত্তি সেটাকে নিয়ে নোংরা মন্তব্য করার অধিকার কারও নেই। শ্রীলেখা মিত্রের স্পষ্টবাদিতার প্রমাণ আরো একবার উজ্জ্বল নাগরিকদের কাছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.