কলকাতা২৪x৭: গত রবিবারই তরুণ কুস্তিগির সাগর রানা হত্যাকান্ডে গ্রেফতার হয়েছেন দু’বারের অলিম্পিক পদকজয়ী কুস্তিগির সুশীল কুমার(Sushil Kumar)। নিঃসন্দেহে এটি ভারতের ক্রীড়া জগতের ইতিহাসের কলঙ্কতম অধ্যায়ের মধ্যে একটি। ক্রীড়া জগতে সুশীলের অবদানের জন্য তিনি বরাবরই সন্মানিত এবং প্রশংসিত হয়ে এসেছেন। সেই সুশীলেরই হত্যা মামলার সঙ্গে যোগ থাকা এবং সেকারণে তাঁর গ্রেফতারির ঘটনায় সারা বিশ্বের ক্রীড়াপ্রেমী বহু মানুষ অবাক হয়েছেন।
তবে সুশীলের আগেও সারা বিশ্বের বহু জনপ্রিয় ক্রীড়াবিদ বিভিন্ন কারণে গ্রেফতার হয়েছেন। আজ এমনই বিশ্ববিখ্যাত পাঁচ ক্রিকেটারের নাম জেনে নেওয়া যাঁরা বিভিন্ন কারণে গ্রেফতার হয়েছিলেন।
সুরেশ রায়না (Suresh Raina)
ভারতের প্রাক্তন মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান সুরেশ রায়না গত বছর গ্রেফতার হয়েছিলেন। তিনি বছরের শেষের দিকে মুম্বই ক্লাবে(Mumbai Club) একটি পার্টিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই পার্টিটি কোভিড বিধি না মেনে করা হয়েছিল। সেই কারণে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮, ২৬৯ ও ৩৪ ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
পরে রায়নার দলের তরফ থেকে এই বিষয়ে একটি প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, ‘সুরেশ মুম্বইয়ে গিয়েছিল বিজ্ঞাপনের শ্যুটের জন্য। কিন্তু সেটি অনেক দেরি পর্যন্ত চলে। এরপর তিনি তাঁর এক বন্ধুর অনুরোধে নৈশভোজে যান। নৈশভোজের পর দিল্লি ফেরার জন্য তাঁর ফ্লাইট ধরার কথা ছিল। ও স্থানীয় নিয়মের সম্বন্ধে জানত না। কিন্তু জানতে পেরেই স্থানীয় প্রশাসনের যাবতীয় সহয়তা করেছে। এই দুঃখজনক ঘটনার জন্য ও খুব লজ্জিত। সুরেশ সব সময় সরকারি নিয়মকে সন্মান করে তা মেনে এসেছে এবং ভবিষ্যতেও তাই করবে’।
ওয়াসিম আক্রম (Wasim Akram)
পাকিস্তানি তারকা ক্রিকেটার ওয়াসিম আক্রমও একবার তাঁর সতীর্থ ওয়াকার ইউনিস(Waqar Younis) এবং আকিব জাভেদের(Aaqib Javed) সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছিলেন নিজেদের সঙ্গে গাঁজা রাখার অপরাধে। ঘটনাটি ঘটেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজে ১৯৯৩ সালে। তাঁরা তিনজন টিম হোটেল থেকে সমুদ্রসৈকতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনজন অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে তাঁদের দেখা হয়। সেই তিন ব্যক্তি নিজেদের আক্রম, ওয়াকার এবং আকিবের অনুরাগী পরিচয় দিয়ে তাঁদের সঙ্গে ভাব জমান। কিন্তু কিছু সময় পরেই তাঁরা তিন ক্রিকেটারের পায়ের সামনে থেকে একটি সিগারেটের বাক্স থেকে গাঁজা উদ্ধার করেন। তারপর তাঁরা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাঁদের গেফতার করেন। কিন্তু পরে জানা যায় আক্রম, ওয়াকার এবং আকিব নিরপরাধী ছিলেন।
বিনোদ কাম্বলি (Vinod Kambli)
সচিনের কাছের বন্ধু এবং ভারতীয় দলের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান বিনোদ কাম্বলিও একবার গ্রেফতার হয়েছিলেন। ২০১৫ সালে সোনি নাফেসিন সরসল(Soni Nafesinh Sarsal) নামে তাঁদের এক গৃহকর্মী বিনোদ ও তাঁর স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে বান্দ্রা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সোনির অভিযোগ ছিল বিনোদ ও তাঁর স্ত্রী তাঁকে বাড়ি যেতে দিচ্ছে না। তিনি মাইনে চাইলে তাঁকে তিন দিন ঘরে আটকে রাখা হয়। এমনকি তাঁকে মারধরও করা হয়েছিল।
পরে এই বিষয়ে বিনোদের স্ত্রী অ্যান্ড্রিয়া(Andrea Hewitt) মুখ খোলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের গৃহকর্মী নেশা করত এবং প্রায়ই কাজে আসত না। তাই ওঁকে কাজ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। সেকারণেই ও আমাদের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে’।
অমিত মিশ্র (Amit Mishra)
ভারতের তারকা স্পিনার অমিত মিশ্রর নামও এই তালিকায় রয়েছে। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল যখন ভারতে এসেছিল তখনই ঘটনাটি ঘটে। বন্দনা জৈন(Vandana Jain) নামে এক মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন, মারধর এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তবে নিজের গ্রেফতারির সময় এই সকল অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন অমিত।
প্রবীণ কুমার (Praveen Kumar)
ভারতের প্রাক্তন পেস বোলার প্রবীণ কুমারের নাম এই তালিকায় রয়েছে। ২০১৯ সালে প্রবীণের প্রতিবেশী তাঁকে ও তাঁর ছেলেকে মারধর করার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন। তাঁর প্রতিবেশী দাবি করেন প্রবীণ সেই সময় নেশাগ্রস্ত ছিলেন।
পরে প্রবীণ এই বিষয়ে সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে(PTI) বলেছিলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আসলে ও আমার চেন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। এটা স্থানীয় রাজনীতির একটি কেস ছাড়া কিছুই নয়’।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.