সুশীলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে
সাগর রানা হত্যাকাণ্ডে দিল্লি পুলিশের তদন্তপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুশীল কুমারের আইনজীবী বিএস জাখার। তাঁর কথায়, কুস্তিগীরের জন্য তৈরি করা আইনি নোটিশ তাঁর স্ত্রীর হাতে দেওয়া হয়েছিল। এই পদক্ষেপের পিছনে কোনও যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না সুশীলের আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, সাধারণ কোনও ঘটার ১০ দিনের মধ্যে কুখ্যাত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধেও জামিন আযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার পাশাপাশি পুরস্কারমূল্য ঘোষণা করে না পুলিশ। সুশীলের ক্ষেত্রে সেই রীতি ভাঙার কারণও বুঝে উঠতে পারছেন কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী তারকার আইনজীবী। এমনকী ছত্রসল স্টেডিয়ামের সংঘর্ষে আহত হওয়া দুই যুবক পুলিশকে সুশীলের নাম উল্লেখ করেননি বলেও দাবি করেছেন সুশীলের আইনজীবী। তাঁর মতে, গোটা ঘটনাক্রম ভারতীয় কুস্তিগীরকে ফাঁসানোর জন্য সাজানো হয়েছে।
তদন্তে অসহযোগিতা সুশীলের
দিল্লি পুলিশের এক সূত্র মারফত জানানো হয়েছে যে সাগর রানা হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছেন না সুশীল কুমার। বক্তব্য, ক্রাইম ব্রাঞ্চের জেরায় এবং ছত্রসল স্টেডিয়ামে ঘটনার পুনর্নির্মাণের সময় অলিম্পিয়ান দাবি করেছেন যে তিনি দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তাতে অনেক সত্য চাপা পড়ে যাচ্ছে বলে দাবি ওই সূত্রের। বক্তব্য, সাগর রানা হত্যাকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণ অনুযায়ী সুশীলের নির্দেশেই ২৩ বছরের কুস্তিগীরকে বাড়ি থেকে ছত্রসল স্টেডিয়ামে তুলে আনা হয়েছিল। আসলে সুশীল তাঁর প্রতি শিষ্য সাগরের দুর্বব্যহারের উচিত শিক্ষা দিতে চেয়েছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। মারধরের সময় ভারতীয় কুস্তিগীর তাঁর এক সহযোগীকে ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করতে বলেছিলেন বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সেই ক্লিপিংসের প্রচারের মাধ্যমে বাকি জুনিয়রদের সাবধান করা সুশীলের লক্ষ্য ছিল বলেও দাবি পুলিশের।
জেলেও প্রাণনাশের হুমকি
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, কুখ্যাত সমাজবিরোধী নীরজ বাভনার সঙ্গে সুশীল কুমারের ঘনিষ্ঠতা ছিল অনেক আগে থেকে। সে কারণে ভারতীয় কুস্তিগীর দিল্লির অপর এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী কালা আসাউদা চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। অভিনেতা সলমন খানকে খুনের চক্রান্ত করা কালা, গ্রেফতার হওয়ার পর সুশীল কুমারকে জেলেও প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে সূত্রের খবর। সাগর রানা হত্যায় ভারতীয় অলিম্পিয়ান দুষ্কৃতীদের সহায়তা নিয়েছিলেন বলেও খবর।
গ্রেফতার আরও ৪
২৩ বছরের সাগর রানা হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিন দিন আগে মূল অভিযুক্ত সুশীল কুমার ও তাঁর সহযোগী অজয়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁদের জেরা করে ঘটনায় জড়িত আরও অভিযুক্তের খোঁজ পায় দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে দিল্লির খাঁজাওয়ালা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ধৃতদের নাম ভূপেন্দর (৩৮), মোহিত (২২),গুলাব (২৪) এবং মনজিৎ (২৯) বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধৃতরা নীরজ বাভনা গোষ্ঠীর সদস্য বলেই মনে করছেন তদন্তকারী।