কলকাতাঃ করোনার (corona virus) দ্বিতীয় ঢেউয়ের (Second wave) ধাক্কায় বিধ্বস্ত দেশবাসী। চারিদিকে অক্সিজেন, হাসপাতালে বেড, ওষুধের তীব্র হাহাকার। স্বজন হারানোর যন্ত্রণায় ছটফট করছে মানুষজন। সংক্রমণের সংখ্যা সাময়িকভাবে কিছুটা কমলেও, কমেনি মৃত্যু হার। করোনা প্রাণ কেড়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষের। চোখের সামনে সন্তানকে মরতে দেখেছে মা। কত শিশুকে অনাথ করে দিয়েছে এই করোনা। আবার সদ্যোজাতের (New born) জন্ম দিয়েই করোনা প্রান কেড়ে নিয়েছে মায়ের। এই সদ্যোজাতরা মাতৃদুগ্ধ (Breast milk) কোথায় পাবে? নাকি মাতৃদুগ্ধ ছাড়াই ওদের বেড়ে উঠতে হবে? এই ভাবনায় মাথায় হাত পরিবারের। মহামারীর (Pandemic) এই আকালে সদ্যোজাতদের জন্যে মাতৃদুগ্ধের সমাধান দিয়েছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukharjee)।

মাতৃদুগ্ধের বিকল্প কোনকালেই কোন কিছু ছিল না। তাই এই মহামারীর সময় সে নবজাত শিশুগুলি মাতৃ হারা হচ্ছে তারা কি মাতৃদুগ্ধ না খেয়েই বেড়ে উঠবে? সমাধান দিয়েছেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। ‘ফিঙ্গারস ক্রসড’ (Fingers Crossed Foundation ) নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মা হারা সদ্যোজাত শিশুদের মুখে মাতৃদুগ্ধ তুলে দেওয়ার জন্যে বাংলায় এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে। গঠন করেছেন ‘ব্রেস্ট মিল্ক ব্যাংক’ (Breast Milk Bank)। এই উদ্যোগের নাম দিয়েছে ‘মমতা’। মাতৃদুগ্ধ দান কিংবা বিক্রি করা অনেকে কটু চোখে দেখলেও এই অতিমারিতে ফুটফুটে ওই নবজাত গুলির জন্যে মাতৃদুগ্ধের কোন বিকল্প নেই। অভিনেত্রী তার সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন এই উদ্যোগের কথা। এই উদ্যোগের সকল তথ্য শেয়ার করে নিয়েছেন নেটিজেনদের সঙ্গে। যেসব মায়েরা নিজের দুগ্ধ দান করতে ইচ্ছুক কিংবা যাদের মাতৃদুগ্ধ প্রয়োজন তাদের যোগাযোগ করতে বলেছেন এই সংস্থার সঙ্গে।

করোনা মহামারীতে স্বস্তিকা শুরু থেকেই বেশ সক্রিয়। নিত্য তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপডেট দিয়ে চলেছেন কোথায় অক্সিজেন সিলিন্ডার (Oxygen cylinder) পাওয়া যাচ্ছে, কোন হাসপাতালে বেড খালি আছে, কোথায় কোন করোনা রোগীর প্লাজমা (Plasma) প্রয়োজন, কোথায় কোন করোনা আক্রান্তের পরিবারে খাবার পৌঁছে দেওয়ার প্রয়োজন এমন বিভিন্ন তথ্য। সম্প্রতি অভিনেত্রী রক্তদান করেছেন। সেই ছবিও নেট দুনিয়ায় দেখা গিয়েছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.