নয়াদিল্লি: এবার যোগগুরু রামদেবের বিরুদ্ধে দায়ের হল মানহানির মামলা। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (IMA) উত্তরাখণ্ড ডিভিশন তাঁর বিরুদ্ধে ১ হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করেছে। অ্যালোপ্যাথি নিয়ে রামদেবের করা সাম্প্রতিকতম মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই এই মামলা করে IMA।

IMA-র তরফে যে নোটিস পাঠানো হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে যদি তিনি তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার না করে একটি ভিডিও পোস্ট না করেন ও ১৫ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে ক্ষমা না চান তবে তাঁকে ১ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। সোমবার IMA-র উত্তরাখণ্ড ডিভিশন রামদেবের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছে। এই মর্মে ইউনিট প্রেসিডেন্ট ড. অজয় খান্না মুখ্যমন্ত্রী চীরথ সিং রাওয়ত এবং মুখ্য সচিবকে চিঠিও দিয়েছেন। রামদেবে অ্যালোপ্যাথি নিয়ে উক্তির জন্য IMA সহ অন্যান্য চিকিৎসদের তীব্র অসন্তোষের কথা বলা হয়েছে চিঠিতে। ইতিমধ্যেই রামদেবের কাছে পাঠানো হয়েছে আইনি নোটিস।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে রামদেব বলেছেন, অনেক মানুষ শুধু অ্যালপ্যাথি চিকিৎসার জন্য মারা গিয়েছেন। যাঁরা চিকিৎসা বা অক্সিজেন পাননি বলে মারা গিয়েছেন, তাঁদের চেয়ে অনেক বেশি।” তিনি অ্যালপ্যাথিকে “নির্বোধ এবং দেউলিয়া” বিজ্ঞান হিসাবেও অভিহিত করেন।

আধুনিক চিকিৎসা নিয়ে রামদেবের বিতর্কিত মন্তব্যের পর হর্ষ বর্ধন তাঁকে ২ পাতার চিঠি পাঠান। সেখানে তিনি লেখেন, “অ্য়ালোপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়ে আপনার মন্তব্যে দেশবাসী আহত হয়েছে। আমি আগেই এ নিয়ে আপনাকে ফোনে বলেছি। দেশবাসীর কাছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ভগবানের সমান। তাঁরা করোনার বিরুদ্ধে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লড়ছেন। আপনি শুধু করোনা যোদ্ধাদের অপমানিত করেননি, দেশের মানুষের অনুভূতিতেও আঘাত করেছেন। আপনার গতকালের উদ্ধৃতি এর জন্য যথেষ্ট নয়। আমি আশা করব আপনি আপনার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার ব্যাপারে ভালোমতো বিবেচনা করবেন।” এছাড়া ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন থেকেও আইনি নোটিস পেয়েছেন রামদেব। সেখানে তাঁর বক্তব্যের জন্য তাঁকে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। নোটিসে এও বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে যখন অ্যালোপ্যাথি ও আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি মানুষের জীবন বাঁচাচ্ছে তখন তার মর্যাদা ক্ষতিগ্রস্ত করছেন রামদেব।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.