স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: ইয়াসে বাংলার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে রাজ্য সরকারের দেওয়া হিসেব মানতে চাইলেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)৷ কটাক্ষের সুরে তিনি বললেন, “ঝড় আসার আগেই মনে হয় ক্ষয়ক্ষতি ঠিক করে রাখা হয়েছিল!”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, ‘ঘুর্ণিঝড় ইয়াসে ১৩৪টি বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। ৩ লক্ষেরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত।’ এরপরই একটি বিবৃতি প্রকাশ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “১৩৪ টি বাঁধ নাকি ভেঙে গিয়েছে বলা হচ্ছে। জানি না এই হিসাব কোথায় পেয়েছেন। আর আয়লার পরে বাঁধ কতটা পাকা হয়েছিল তা জানা নেই।” তখন কাজ হলে এত বাঁধ ভাঙল কী করে? প্রশ্ন দিলীপ ঘোষের। ঘূর্ণিঝড়ের অর্থ বরাদ্দ নিয়ে প্রথম থেকেই রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী, এই অভিযোগও করলেন দিলীপ। তাঁর প্রশ্ন, আমফানের পর কত ম্যানগ্রোভের চারা লাগানো হয়েছে? তাঁর দাবি, “কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার সঠিক তথ্য দিক রাজ্য সরকার”,
আরও পড়ুন: ইয়াস সামলে ৩০ ঘণ্টা পর কালীঘাটে ফিরলেন মমতা
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহু গ্রাম ভেসে গিয়েছে। কপিলমুনির আশ্রম জলমগ্ন। সেচ ব্যবস্থা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত৷ পানের বরোজ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি জানান, দুই মেদিনীপুর ছাড়াও হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, হাড়োয়া, পাথরপ্রতিমা, কুলপি, বাসন্তী, বজবজ, উলুবেড়িয়া, শ্যামপুর, বাগনান, সাঁকরাইল, দিঘা, নন্দীগ্রাম, শঙ্করপুর, রামনগর, তাজপর, কাঁথি, সুতাহাটা, কোলঘাট, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে সেচ দফতরের। বিভিন্ন জায়গায় নদীবাঁধ ভেঙেছে। কী করে সেগুলির স্থায়ী মেরামত করা যায় তা খতিয়ে দেখতে দফতরের সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।’ তিনি জানিয়ে দেন, বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করছে রাজ্য সরকার।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেছেন, “যতটা ক্ষতি হবে ভাবা হয়েছিল তার থেকে কম হয়েছে। ভগবানের ইচ্ছায় অনেক মানুষের প্রাণ বেঁচে গিয়েছে। ইয়াসের মোকাবিলায় রাজ্য সরকারকে কেন্দ্র অগ্রিম টাকা দিয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী নিজে এটা নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন। যে রাজ্যের উপকূলবর্তী সীমা যত বেশি থাকে সেই রাজ্যকে তত বেশি টাকা দেওয়া হয়। সেই হিসাবেই টাকা দেওয়া হয়েছে।”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.