কলকাতা: কলকাতা দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মেট্রো (Metro) শহর। যাঁরা কলকাতা (Kolkata) শহরে থাকেন ভীড়, যানজটের মধ্যেই নিজের গন্তব্য বা কর্মস্থলে পৌঁছনো, হয়ে উঠেছে তাদের রোজকার রুটিন। দীর্ঘদিন একই ধরনের কর্মকাণ্ড একঘেয়েমির প্রধান কারণ হিসেবে দেখা দিতে পারে, এই একঘেয়ে জীবনে যদি একটু খানি সবুজের ছোঁয়া পাওয়া যায় জীবন তবে হয়ে ওঠে আরও সতেজ। নতুন আমজে কাজ করার উদ্যম দায়িত্ব পালনে নতুন নতুন গতি অনেক কঠিন কাজও সহজ করে তোলে। কলকাতাতেই আছে এরকম কিছু সবুজের ঠিকানা। কলকাতা শুধুই আনন্দ আর ঐতিহ্যের শহর নয়, কলকাতা যেনো সব কিছুর মিশেল। আসুন দেখে নেওয়া যাক কলকাতায় অবস্থিত সবুজের ঠিকানা গুলি।

১. ময়দান: কলকাতা শহরে বড় হয়েছে কিন্তু নিজের বন্ধুবান্ধব বা বান্ধবীর হাত ধরে ময়দান (Maidan) ঘুরতে যাননি এরকম লোক পাওয়া খুবই দুষ্কর। ময়দানের বিস্তৃত সবুজ ঘাসের প্রান্তর, পাশ দিয়ে ছুটে চলা রেড রোডের গাড়ির ঝাঁক যেনো এক আলাদা অনুভুতি। ময়দানের পানে চেয়ে বসে থাকতে থাকতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় যেনো এমনিই কেটে যায়। শহরের কোলাহল ও ব্যস্ততার মাঝের এই সবুজ মাঠের এই বিস্তার যেনো ফুসফুসের মত।

২. ইলিয়ট পার্ক: জওহরলাল নেহেরু রোড ও ইলিয়ট রোডের সংযোগস্থলে অবস্থিত এই পার্কটি কলকাতার অন্যতম অহংকার। ইলিয়ট পার্কের গাছগাছালির মধ্যেই রয়েছে পুকুর, যাঁরা সকালে মর্নিং ওয়াক (Morning walk) করেন তাদের জন্য আলাদা হাঁটার জায়গা। বসে সময় কাটানোর জন্য রয়েছে অসংখ্য বেঞ্চ। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও অনেক সময় ইলিয়ট পার্কে হাঁটতে যেতেন। ইলিয়ট পার্কে রয়েছে সুদৃশ্য ঝর্না যা আপনার মন ভালো করে তুলবে।

৩. ইকো পার্ক নিউ টাউন: কলকাতার উপনগরী নিউ টাউনে অবস্থিত এই পার্কটি (Eco park) বিগত কয়েক বছরে কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থান হয়ে উঠেছে। এখানে পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের (Seven wonders) এর রেপ্লিকা দারুন ভাবে বানানো রয়েছে। শহরের কোলাহলের মাঝে বুক ভরে অক্সিজেন নিতে চাইলে যেতেই হবে ইকো পার্ক। এখানে বিনোদনের জন্য সাইকেল রাইডিং, বোট রাইডিং, বিভিন্ন স্নাক্সের দোকান রয়েছে। এক কথায় কলকাতা শহরের একটি দারুন ভ্রমণ কেন্দ্র।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.