ভাঙা বাঁধের প্রকৃত সংখ্যা হাতে পেতে চাইছে নবান্ন
মঙ্গলবার রাত থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নের কন্ট্রোল রুম থেকে জেলাশাসক ও দায়িত্বে থাকা মন্ত্রীদের সঙ্গে দফায় দফায় যোগাযোগ করে খোঁজ নিয়েছেন। বুধবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ঘুর্ণিঝড়ের কারণে মোট ১৩৪টি বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। ফলে ১ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই রিপোর্ট হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে ঠিক কত বাধ ভেঙেছে সে বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে মুখ্যমন্ত্রী একাধিক জায়গাতে জল যমে রয়েছে। সেখানে কাউকে যেতে বলা যায় না। ফলে জল নামলেই প্রকৃত তথ্য সামনে আসবে বলে জানা যাচ্ছে।
২৪ পরগনার সুন্দরবনেই বাঁধের ক্ষয়ক্ষতি
প্রাথমিক রিপোর্ট এসেছে তাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনেই বাঁধের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার কারণে মুড়িগঙ্গা নদীর উপর থাকা বাঁধ ভেঙে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে কাকদ্বীপ ও সাগরের বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই কারণে সাগর ব্লকের কচুবেড়িয়া সাউঘেরি এখনও জলমগ্ন। প্রশাসন সূত্রে খবর, পূর্ণিমার ভরা কোটালের সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সমুদ্রের জলের স্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা ও সাগরদ্বীপের বাঁধ ভেঙে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
পশ্চিমমেদিনীপুর মোট ৫১টি বাঁধ ভেঙে গিয়েছে
ইয়াসের দাপটে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শঙ্করপুর, দীঘা, মন্দারমণি-সহ পাশ্বর্বতী এলাকা বন্যা কবলিত হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, ১৫ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নিচু এলাকাগুলি বানভাসি হয়েছে। পূর্ব ও পশ্চিমমেদিনীপুর মোট ৫১টি বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। নন্দীগ্রামে সোনাচূড়া-সহ বিভিন্ন গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত ২০ হাজার বাড়ি ভেঙেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ।পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ৩লক্ষের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকালে ইয়াস ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে আছড়ে প়ড়ার পরেই মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেছেন, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা-সহ বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার জেলাশাসকদের সঙ্গে।
তৈরি হচ্ছে টাস্ক ফোর্স
বাঁধের টাকা দেয় না কেন্দ্রীয় সরকার। আম্ফানে একাধিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। ভেঙে যায় একাধিক বাধ। ফের ইয়াসের চাপে ভেগে গিয়েছে। এই অবস্থায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা। আর তা সারাতে ব্যাপকও খরচও। আর তাই সমস্ত বাধ মেরামতি সহ ক্ষয়ক্ষতি বিশ্লেষণ করতে বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করলেণ মমতা। আগামী সাতদিণ সমস্ত ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখে এই টাস্ক ফোর্স হিসাব দেবে বলে নির্দেশ মমতার।