এনডিআরএফের আরও টিম পাঠানো হচ্ছে
রাজ্যের মধ্যে সবথেকে খারাপ অবস্থা দিঘা, শঙ্করপুরে। ইতিমধ্যে সেখানে পাহাড় প্রমাণ ঢেউ আছড়ে পড়ছে। জানা যাচ্ছে, মন্দারমনি, শঙ্করপুরে রীতিমত একের পর এক গ্রামের মধ্যে গিড়ে আছড়ে পড়ছে ঢেউ। ভেসে যাচ্ছে দিঘার বিস্তির্ন অঞ্চলে। দিঘা, মন্দারমণিতে একের পর এক বাধ ভেঙে গিয়েছে। এই অবস্থায় ঝড় কমলেই উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়বে এনডিআরএফের টিম। কিন্তু সেখানে পরিস্থিতি আরও খারাপ। ফলে আরও বিপর্যয় মোকাবিলার টিম মেদিনীপুরে পাঠানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় মোতায়েন হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী। যেহেতু এদিকে, অতিরিক্ত ১০টি জাতীয় বিপর্যয় মোকবিলা টিম রাজ্যে মোতায়েন করা হয়েছে। এই নিয়ে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৪৫টি টিম রাজ্যে মোতায়েন করা হল বলে জানিয়েছেন এনডিআরএফ -এর ডিজি।
নামানো হয়েছে সেনা
আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় দিঘায় নামানো হল সেনা। ইতিমধ্যে সেনার ৭০ জনের দল দিঘাতে পৌঁছে গিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সেখানে পৌঁছেই সেনার তরফে রেইকি করার কাজ শুরু করে দেন সেনাবাহিনীর জওয়ানরা। রাজ্যের উপকূল এলাকার মধ্যে দিঘায় ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের সবথেকে বেশি প্রভাব পড়ার কথা, তাই প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক রাখছে না প্রশাসন। যদিও মঙ্গলনার সকালেই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যেখানে দরকার পড়বে সেনা নামানো হবে। আর সেই মতো প্রথম দিঘাতেই নামানো হয় সেনাবাহিনী। জানা যাচ্ছে, বুধবার সকাল থেকে উদ্ধারকাজে নেমে পড়েছে সেনাবাহিনীর দল।
শঙ্করপুর-মন্দারমণিতে গ্রামের মধ্যে জল ঢুকছে
ইতিমধ্যেই দিঘা, শঙ্কর, মন্দারমণি সমুদ্রে ৩০ ফুট উচ্চতায় ঢেউ উঠছে। ইতিমধ্যেই গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে। গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা। কোমর সমান জল গ্রামগুলিতে। দিঘা, চাঁদিপুরেও হচ্ছে প্রবল জলোচ্ছ্বাস। ইতিমধ্যে শঙ্করপুর, মন্দারমণিতে ভেঙে গিয়েছে বাধ। ভেঙে গিয়েছে রাস্তাও। এই অবস্থাও হু হু করে গ্রামের মধ্যে ঢুকছে জল। গ্রামের অনেকটা ভিতরে গয়ে আছড়ে পড়ছে জল।
ভরা কোটালেই আছড়ে পড়ল ইয়াস
বুধবার পূর্ণিমা। সেই সঙ্গে রয়েছে চন্দ্রগ্রহণ। পূর্ণিমার প্রভাবে বুধবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে শুরু হয়েছে জোয়ার। সকাল ১১টা ৩৭ মিনিটে সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছবে জোয়ার। জোয়ার চলাকালীন জলের উচ্চতা সর্বাধিক সাড়ে ৫ মিটার উঠতে পারে। অন্য দিকে বুধবার দুপুর ৩টো ১৫ মিনিটে শুরু হওয়ার কথা পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। চলবে সন্ধ্যা ৬টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত। ২০২১ সালে এটিই প্রথম ও শেষ ‘ব্লাড মুন' হতে চলেছে। ফলে ভরা কোটাল ও ঘূর্ণিঝড়ের স্থলভাগে আছড়ে পড়া প্রায় একই সময় হয়েছে। আর এই জোড়া ফলায় দুর্যোগ ও দুর্ভোগ বেড়েছে উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভরা কোটালের জন্য বাংলায় বেশি সমস্যা হবে