স্বপ্নপূরণের অপেক্ষা
৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত পারথে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মহিলা ক্রিকেট দল দিন-রাতের একমাত্র টেস্টটি খেলবে। এই টেস্ট ছাড়াও তিনটি করে একদিনের আন্তর্জাতিক ও টি ২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ রয়েছে। স্মৃতি মান্ধানা ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, সত্যি কথা বলতে কি যখন ভারতীয় পুরুষ দলকে দিন-রাতের টেস্ট খেলতে দেখতাম তখনও কোনওদিন ভাবিনি আমরাও এমন টেস্ট খেলতে পারব। শুধু আমি নই, আমাদের দলের সকলের মনেই এই ধারণা ছিল বলে আমি নিশ্চিত। তাই যখনই এই সফরের ঘোষণা করা হলো গোলাপি বলে দিন-রাতের টেস্ট খেলতে পারার সুযোগ পেয়ে প্রথমেই আমার প্রতিক্রিয়া ছিল ওহ্, এটা দারুণ ব্যাপার। উল্লেখ্য, পারথেই ১৯৭৭ সালে প্রথম ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন। সেই মাঠেই রচিত হবে নয়া ইতিহাস। ২০০৬ সালের পর অজিদের বিরুদ্ধে টেস্ট খেলবে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল।
প্রথম দিন-রাতের ম্যাচ
স্মৃতি মান্ধানা বলেন, দিন-রাতের প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ও টি ২০ আন্তর্জাতিক খেলার কথাও মনে পড়ছে। বাচ্চাদের মতো আনন্দ হয়েছিল প্রথম যখন দিন-রাতের ম্যাচ খেলার সুযোগ পাই। আমরাও দিন-রাতের ম্যাচ খেলছি এটা ভেবেই খুব আনন্দ হয়েছিল। এবার টেস্ট। উত্তেজনা থাকবে। অনেক কিছু বিষয়ে আমাদের প্রস্তুতিও নিতে হবে। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচের এক্সাইটমেন্ট নিঃসন্দেবে বড় চ্যালেঞ্জ। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের কাছেও এটা একটা দারুণ মুহূর্ত হতে চলেছে।
টেস্ট নিয়ে
২০১৪ সালের ফের ভারতীয় মহিলা দল টেস্ট খেলতে নামবে ইংল্যান্ডে। একই বছরে দুটি টেস্ট। মান্ধানা দেশের হয়ে মাত্র দুটি টেস্ট খেলেছেন। ২০১৪ সালে তাঁর টেস্ট অভিষেক ইংল্যান্ডেই। তিন মাস পরে মাইসোরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একটি টেস্ট খেলেন। দুটি টেস্টই ভারত জিতেছিল যথাক্রমে ৬ উইকেট ও ৩৪ রানে। মান্ধানা বলেন, ইংল্যান্ডে আমরা এত বছর পর টেস্ট খেলব জেনে দলের সকলেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন। আমরা সকলেই সেই টেস্টের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। সাত বছর পর টেস্ট খেলতে পারার অনুভূতিটা এক অন্য মানের।
ডিউক বল ও গোলাপি বল
২০১৮ সালের পর দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে মহিলাদের তিন দিনের ম্যাচ হয়নি। সেই টুর্নামেন্টেও মান্ধানা খেলতে পারেননি জাতীয় দলের সঙ্গে থাকায়। তবে ভারতীয় দলের প্রস্তুতি নিয়ে খুব একটা চিন্তা নেই মিতালি রাজের দলের। মান্ধানা বলেন, এখনই গোলাপি বল নিয়ে ভাবনা আমাদের নেই। আগে ইংল্যান্ড টেস্ট, ডিউক বল এ সব নিয়েই আমাদের প্রস্তুত হতে হবে। একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকেই গোলাপি বলের সঙ্গেও আমরা মানিয়ে নিতে পারব।