কলকাতা: বিচ্ছেদ কী তবে আসন্ন? কোয়েসের(Quess) পর সম্ভবত শ্রী সিমেন্টও(Shree Cement) হাতছাড়া হতে চলেছে ইস্টবেঙ্গলের(East Bengal)। চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে(Final Agreement) সই করা নিয়ে বিনিয়োগকারী সংস্থা(Investor) এবং ক্লাব কর্তাদের(Club Officials) অবস্থান এখনও দুই ভিন্ন মেরুতে। যা পরিস্থিতি তাতে কিন্তু সিঁদুরে মেঘ দেখছেন সমর্থকেরা। ইতিমধ্যেই ফ্যান ফোরাম গুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্যোগ নিয়ে সই করার জন্য ক্লাব কর্তাদের উপর চাপ বাড়াতে শুরু করেছে। অথচ ক্লাবের কার্যনির্বাহী সমিতির অন্যতম সদস্য দেবব্রত সরকার(Debabrata Sarkar) বলছেন, চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই করলেই ক্লাব বিক্রি হয়ে যাবে। সেটা আমরা করতে পারি না কারণ এটা সদস্য-সমর্থকদের ক্লাব।
এদিকে আর কত অপেক্ষা করবে বিনিয়োগকারী শ্রী সিমেন্ট? তারা অধৈর্য্য হয়ে এবার হয়তো সময় বেঁধে দেওয়ার পথেই হাঁটতে চলেছে। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কর্তারা চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই না করলে বিচ্ছেদের রাস্তা অবশ্যম্ভাবী। প্রাথমিক চুক্তিপত্রের(Term Sheet) সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তিপত্রের(Final Agreement) ফারাক কোথায়? জানতে চেয়ে চলতি মাসের শুরুতে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের চিঠি পাঠানো হয়েছিল শ্রী সিমেন্টের তরফ থেকে। সেই চিঠির পালটা মঙ্গলবার বিনিয়োগকারী সংস্থাকে দেওয়া হয়েছিল ক্লাবের তরফ থেকে। তাতে আশার আলো দেখেছিলেন সমর্থকেরা। কিন্তু বুধবার শ্রী সিমেন্টের তরফে সেই চিঠির প্রতিক্রিয়ায় জানানো হয়েছে, আসলে চিঠির কোনও সারবত্তাই নেই।
‘ক্লাব সভাপতি প্রণব দাশগুপ্ত(Pranab Dasgupta) শ্রী সিমেন্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর(MD) হরিমোহন বাঙ্গুরকে(Hari Mohan Bangur) লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন, তিনি কয়েকটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট দেখে চমকে উঠেছেন। যেখানে লেখা হয়েছে আসন্ন আইএসএলে(ISL) নাকি ইস্টবেঙ্গল অংশগ্রহণ করবে না। এই মর্মে তিনি যখন ইচ্ছে বিনিয়োগকারী সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টরের সঙ্গে ব্যক্তিগত স্তরে আলোচনায় প্রস্তুত।’
‘একাধিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী ম্যানেজমেন্ট নাকি আসন্ন মরশুমে দল গঠন করবে না চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই ছাড়া। কিন্তু আমাদের মনে হয় না তারা এত বড় একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। ওঁদের কাছে ফুটবল রাইটস(Football Rights) আছে এবং চুক্তিপত্রে এমনটা কোথাও উল্লিখিত ছিল না যে চূড়ান্ত চুক্তি না হলে নতুন ম্যানেজমেন্ট দল গঠন করবে না। গত মরশুমেও টার্মশিটের ভিত্তিতেই দলগঠন হয়েছিল। তাই আমাদের মনে হয় চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই না হলেও দলগঠন প্রক্রিয়া এগোবে।’
আর দুই চুক্তিপত্রে ফারাক সম্বন্ধে দেবব্রত বাবু জানিয়েছেন, গত ১৭ অক্টোবর, ২০২০ পাঠানো চিঠিতেই সেই দিকগুলি নির্দেশিত ছিল। তবুও তারা পুনরায় সেই পুরনো চিঠির কপি মঙ্গলবারের পাঠানো চিঠির সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন।
ইস্টবেঙ্গলের মঙ্গলবারের চিঠি পেয়ে যারপরনাই ক্ষুব্ধ শ্রী সিমেন্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর হরিমোহন বাঙ্গুর। বুধবার একাধিক সংবাদমাধ্যমে ইস্টবেঙ্গলের চিঠির প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, চিঠিতে নতুন কোনও বিষয় উল্লেখ করা হয়নি। চিঠিতে কোথাও চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই করার কথা বলা হয়নি। পুরনো কথাই উঠে এসেছে ফের। অর্থাৎ, যেমনটা শ্রী সিমেন্ট আগে জানিয়েছিল যে চূড়ান্ত চুক্তি ছাড়া তারা আর একটি টাকাও বিনিয়োগ করা হবে না, এদিন সেই একই অবস্থানে অনড় রইলেন সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর।
একইসঙ্গে তাঁর কথায়, সদস্যরা তো আর চুক্তিপত্রে সই করবে না। সবমিলিয়ে যা পরিস্থিতি তাতে খুব শীঘ্রই হরিমোহন বাঙ্গুর পালটা চিঠিতে ক্লাবকে চরম হুঁশিয়ারি দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেটা যে ইস্টবেঙ্গলের জন্য আরও খারাপ হতে চলেছে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
দিনদু’য়েক আগে হরিমোহন বাঙ্গুর(Hari Mohan Bangur) ফুটবল ওয়েবসাইট গোল ডট কম-কে ধারণা দিয়েছিলেন যে, তারা অনন্তকাল অপেক্ষা করবেন না। একইসঙ্গে আক্ষেপের সুরে হরিমোহন বাবু জানিয়েছিলেন, টার্মশিটে সইয়ের ব্যাপারে কর্তাদের এই বিলম্ব আখেরে ক্ষতি করছে ক্লাবেরই। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও ক্লাবকে চূড়ান্ত কোনও বার্তা শোনায়নি। এমনিতেই আমরা লম্বা একটা সময় অপেক্ষা করছি, কিন্তু আমাদের জন্য তো আর খেলা থেমে থাকবে না। ক্লাব কর্তাদের উচিৎ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই করে দেওয়া।’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.