কলকাতা: ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Yaas) । মঙ্গলবার রাতের মধ্যে ইয়াস আরও শক্তি (More Powerful) সঞ্চয় করে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone) পরিণত হবে ইয়াস, এমনই জানিয়েছে মৌসম ভবন (Mausam Bhavan) । উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে বুধবার (Wesdnesday) সকালের মধ্যে এই অতি শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়টির পশ্চিমবঙ্গ ও ওডিশার স্থলভাগের কাছে পৌঁছনোর কথা। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এর জেরে রাজ্যের বিদ্যুৎ (Electric) সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিদ্যুৎ সরবরাহের দিকে কড়া নজর রাজ্য সরকারের। আজ বিদ্যুৎ উন্নয়ন ভবনে নিজের দফতরে থাকবেন বিদ্যুৎ, যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas) । বিদ্যুৎ ভবনের কন্ট্রোল রুমে (Control Room) যাবেন তিনি। আজ ও আগামিকাল নিজের দফতরে ও কন্ট্রোল রুম থেকেই সারা রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিস্থিতির ওপর নজর রাখবেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জেরে দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) সমস্ত জেলা জুড়েই বৃষ্টি শুরু হয়েছে গতকাল থেকেই। আজ সকাল থেকেই মেঘে ঢাকা আকাশ। মাঝে মাঝেই বৃষ্টি হচ্ছে। আজ দিনভর বৃষ্টি (Rain) হবে। ইয়াস যত কাছে এগিয়ে আসবে বৃষ্টির পরিমাণ তত বাড়বে কলকাতা (Kolkata) ও তার সংলগ্ন অঞ্চলে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতায়। বৃষ্টির জেরে স্বাভাবিক কারণেই কমেছে তাপমাত্রা (temperature)। আজ সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির (rain) পরিমাণ ৩৪.৭ মিলিমিটার। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯৫ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৭২ শতাংশ।
ইয়াস-এর জেরে বড়সড় ক্ষতি সম্ভবত হবে না কলকাতায়। অন্তত এখনও পর্যন্ত ঝড়ের গতি প্রকৃতি দেখে এমনই অনুমান আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। ইয়াস আসছে, শোনার পর থেকেই কলকাতার মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল। সবার মনে পরে যাচ্ছিল ২০২০ সালের ২০ মে-র সেই আমফানের (Amphan) ভয়াল আঘাত হানার ছবি। গোটা শহরটাকে এক কথায় লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে গেছিল সুপার সাইক্লোন আমফান।
তবে সোমবার আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, “পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) নয়, ওড়িশায় (Odisha) আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Yaas Cyclone) । বুধবার দুপুরে বুধবার দুপুরে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রূপে ইয়াস ওড়িশার পারাদ্বীপ ও পশ্চিমবঙ্গের দিঘার মধ্যে ওড়িশার বালেশ্বরের (Baladsore) কাছ দিয়ে অতিক্রম করবে। তার পরে ঝাড়খণ্ডের দিকে এগিয়ে যাবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরে (East Midnapur) সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে। তার পর প্রভাব পর্বে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) উপকূলের জেলায়। তার পর প্রভাব পড়বে ঝাড়গ্রামে।”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.