নয়াদিল্লি: এবার সুশীল কুমারকে(Sushil Kumar) চাকরি থেকে সাসপেন্ড করল রেল। জুনিয়র কুস্তিগীর সাগর রানা(Sagar Rana) হতাকান্ডে অভিযুক্ত সুশীলকে গত রবিবার গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ(Delhi Police)। এই ঘটনার পরেই উত্তর রেলওয়ে(Northern Railway) অলিম্পিক পদকজয়ী দেশের অন্যতম সফল এই কুস্তিগীরকে চাকরি থেকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রবিবার হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত এই কুস্তিগীরকে ৬ দিনের পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে দিল্লি পুলিশ। সোমবার গোটা ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করেছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
স্কুলস্তরে ক্রীড়ার মানোয়ন্নয়ণের জন্য ছত্রসাল স্টেডিয়ামে(Chhatrasal Stadium) রেলের তরফে অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি(OSD) পদে নিয়োগ ছিলেন সুশীল। গ্রেফতারির পর উত্তর রেলওয়ের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৩ মে, ২০২১ গ্রেফতারির কারণে সুশীল কুমার JAG/ (Adhoc) IRTS -কে সাসপেন্ড করা হল। পরবর্তী কোনও নির্দেশ না পাওয়া অবধি তাঁর সাসপেনশন বহাল থাকবে।’ কোনও সরকারি চাকুরিজীবী গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে বিচারাধীন অবস্থায় তাঁকে চাকরি থেকে সাসপেন্ড রাখাই নিয়ম বলে জানিয়েছেন উত্তর রেলওয়ের এক সিনিয়র আধিকারিক।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে খুনের ঘটনার পুনর্নিমাণ করতে সুশীলকে ছত্রসাল স্টেডিয়ামে নিয়ে যায় দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ(Crime Branch))। সুশীলকে এদিন ছত্রসাল স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে দিল্লি পুলিশের এক সিনিয়র অফিসার জানিয়েছেন, ‘ঘটনার তদন্তকারী ক্রাইম বাঞ্চের একটি দল ঘটনাস্থল ছত্রসাল স্টেডিয়ামে গিয়েছিল। কুমারকেও তদন্তের স্বার্থে ঘটনার পুনর্নিমাণের জন্য সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়।’
সোমবার সুশীল কুমারকে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয়েছে। ক্রাইম বাঞ্চের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, সাগর রানা হত্যাকাণ্ডের দিন ঘটনাগুলি ক্রমানুযায়ী সাজিয়ে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে ঘটনার তদন্ত অগ্রসর হচ্ছে। একইসঙ্গে ঘটনার পর সুশীল কোথায় গা ঢাকা দিয়েছিল সে বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এখনও পর্যন্ত খুনের অভিযোগ স্বীকার না-করলেও ঘটনাস্থলে তিনি যে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশের কাছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন সুশীল কুমার (Sushil Kumar)৷
১৯ দিন ধরে গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর অবশেষে গত রবিবার সকালে সাগর রানা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত সুশীলকে দিল্লির মুন্দকা(Mundka) এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের জালে ধরা পড়েন সুশীলের সহযোগী অজয়ও(Ajay)। এরপর আদালতের নির্দেশে সুশীলকে ৬ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেয় দিল্লি পুলিশ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.