নয়া দিল্লিঃ করোনার (Corona) দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন। আক্রান্তের সংখ্যা নিম্নমুখী হলেও কাটছে না উদ্বেগ। মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। হাসপাতালে মিলছে না পর্যাপ্ত শয্যা, সাথে দোসর অক্সিজেনের ঘাটতি। তদুপরি সরকার ভরসা রেখেছে টিকাকরণের ওপর। তবে শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বের কাছে এখন ভরসা টিকাই। এহেন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা মডার্না (Moderna) বাজারে আনতে চলেছে একক ডোজ করোনা ভ্যাকসিন (Single Dose Corona Vaccine)! সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সংস্থাটি আগামী বছর পাঁচ কোটি ডোজ সরবরাহের জন্য সিপলা (Cipla) এবং অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে আলোচনা করছে।
শিশুদের উপর এই ভ্যাকসিনের (Vaccine) ফল প্রকশিতঃ
সম্প্রতি মডার্নার শিশুদের উপর ভ্যাকসিন পরীক্ষার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্বের ফলাফল প্রকাশ করেছে, যাতে তার ভ্যাকসিন শিশুদের জন্য ১০০% কার্যকর এবং নিরাপদ বলে প্রমাণিত হয়েছে। সংস্থাটি ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সের ৭৩২টি শিশুদের উপর তার ভ্যাকসিনের ট্রায়াল করেছে। এর মধ্যে ৪৮৮ জন শিশুকে করোনার ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ দেওয়া হয়েছিল। বাকি শিশুদের ভ্যাকসিনের মাত্র একটি ডোজ দেওয়া হয়েছে। সংস্থার মতে, যেসব শিশুদের ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ দেওয়া হয়েছিল তাদের মধ্যে করোনার লক্ষণ দেখা যায়নি। একই সাথে, এই ভ্যাকসিন শিশুদের ডোজ গ্রহণের ক্ষেত্রে ৯৩% কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, এদিকে আমেরিকা ও ব্রাজিলের পরে ভারত তৃতীয় দেশ হয়ে উঠেছে যেখানে করোনায় ৩ লক্ষ মানুষ মারা গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৬ লক্ষ ৪ হাজার ৮২ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এই মারণ ভাইরাসে এবং ৪ লক্ষ ৪৯ হাজার ১৮৫ জন ব্রাজিলে মারা গেছেন।
অন্যদিকে, ভারতে ক্রমশই নিচের দিকে নামছে করোনার গ্রাফ। এবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা নামল ২ লক্ষেও নিচে। নেমেছে মৃতের সংখ্যাও। পাশাপাশি গতকালের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে সুস্থতার হার। সব মিলিয়ে আশা জাগাচ্ছে দেশের করোনা পরিস্থিতি। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Health Ministry) দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৯৬ হাজার ৪২৭ জন। সোমবারের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা এদিন অনেকটাই কম।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.